পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ ভারতীয় বোলিং। ছবি পিটিআই।
ভারত হেরে যেতেই অনেকের মুখে আফসোস, রবি বিষ্ণোইয়ের ওভারে অর্শদীপ সিংহ যদি ক্যাচটা না ফেলতেন। আসিফ আলির সহজ ক্যাচটা অর্শদীপ ধরে নিলে ম্যাচ ঘুরত কি না সেটা তর্কের বিষয়। কিন্তু ১৯তম ওভারে বল করতে এসে অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার ১৯ রান দিয়ে গেলেন। দায় এড়াতে পারবেন না তিনিও। ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
ভুবনেশ্বর কুমার চার ওভারে ৪০ রান। হার্দিক পাণ্ড্য চার ওভারে ৪৪ রান। যুজবেন্দ্র চহাল চার ওভারে ৪৩ রান। হংকং ম্যাচে আবেশ খানকে চার ওভারে ৫৩ রান দেওয়ার জন্য সমালোচিত হতে হয়েছিল। পাকিস্তান ম্যাচ হারার জন্য ভুবনেশ্বর, হার্দিকরাও সেই দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না।
সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহলী বললেন, “শিশির নেই এখানে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় খুব বেশি তফাত হয়নি।” শিশিরের উপর দায় চাপানোরও জায়গা পাবেন না হার্দিকরা।
গোটা ম্যাচে ছ’টি ওয়াইড বল করেছেন ভারতীয় বোলাররা। অর্থাৎ এক ওভার বেশি বল করতে হয়েছে। ম্যাচের শেষে এসে সময়ের মধ্যে ওই এক ওভার শেষ করতে না পারার খেসারৎটাও দিতে হল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে এক জন ফিল্ডারকে ৩০ গজের মধ্যে বেশি রাখতে হবে। অর্থাৎ বাউন্ডারির ধারে এক জন ফিল্ডার কমবে। রবিবার সেটাই হল ভারতের। শেষ ওভারে অর্শদীপ যখন বল করতে এলেন, তখন ৩০ গজের বাইরে চার জন ফিল্ডার রাখতে হল রোহিতকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যশপ্রীত বুমরা ফিরবেন। তত দিনে সুস্থ হয়ে যাবেন হর্ষল পটেলও। বোলিং আক্রমণে অনেকটাই পরিবর্তন হবে। তা না হলে চাপের ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের কিন্তু বেকায়দায় পড়তে হতেই পারে। শেষ ওভারে বল করতে এসে অর্শদীপ চেষ্টা করেছিলেন। একটি উইকেটও তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের এক ওভারে ১৯ রান দিয়ে দেওয়াতেই ভারত ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলল।