অস্ট্রেলিয়ার জয়ের দুই কারিগর অ্যান্ডারসন, ব্রড। ছবি রয়টার্স
দু’টি নতুন দল, দু’টি নতুন প্রতিপক্ষ। বিপক্ষে সেই একটিই দল, আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পরপর দুই বছরেও সিডনির মাটিতে তাদের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হল না। ২০২১ এবং ২০২২— প্রথমে ভারত, তারপরে ইংল্যান্ড। পরপর দু’ বার দুর্দান্ত খেলে অস্ট্রেলিয়াকে সিডনিতে জিততে দিল না দুই দল।
রবিবার জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মাত্র ১০ উইকেট। বিপক্ষে থাকা ইংল্যান্ডকে টিকে থাকতে হত ৯০ ওভার। কিন্তু দিনের শেষে ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট পেতে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের যখন মাত্র দু’ওভার বাকি, তখন ইংল্যান্ডের নবম উইকেটের পতন হয়। ১২টি বল বাকি, এমন সময় ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রড এবং জেমস অ্যান্ডারসনকে ছেঁকে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। কিন্তু অদমনীয় মনোভাব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের খেলে দেন এই দুই ইংরেজ ব্যাটার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেষ দুই ওভার করার দায়িত্ব পড়েছিল স্টিভ স্মিথ এবং নেথান লায়নের উপর। প্রথমে লায়নের ৬টি বল খেলে দেন ব্রড। এরপর স্মিথের ৬টি ডেলিভারি কোনওমতে আটকে দেন অ্যান্ডারসন। টেস্ট ড্র হয়ে যায়। ২৭০-৯ তোলে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ইংল্যান্ডকে অন্তত এ বারের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে চুনকাম হয়ে ফিরতে হবে না।
ক্রিকেট সমর্থকদের এই ঘটনা দেখে মনে পড়ে গিয়েছে ঠিক এক বছর আগে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার টেস্টের কথা। অ্যাডিলেডে লজ্জাজনক হারের পর মেলবোর্নে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সিডনিতে তাদের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার চাপে ভারতীয় ব্যাটাররা একটা সময় বেজায় বিপদে পড়েন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ১১৮ বলে ৯৭ রান করে ফিরে যান ঋষভ পন্থ। অপর দিকে ছিলেন হনুমা বিহারি। পন্থ ফিরে যাওয়ার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন আসেন ক্রিজে। তাঁরা দু’জনে মিলে ৪৮.৪ ওভার ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ান নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নেন।
পরের টেস্টে ব্রিসবেনের গাব্বাতে সেই পন্থেরই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জেতে ভারত। ৩৩ বছর পর অস্ট্রেলিয়া কোনও টেস্ট হারে গাব্বাতে। ভারত সিরিজও জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে।