ম্যাচ বাঁচানোর দুই নায়ক। ছবি: পিটিআই
সিডনি টেস্ট বাঁচাল ইংল্যান্ড। শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট দরকার ছিল প্যাট কামিন্সদের। ন’টি নিতে পারলেও শেষ উইকেটে জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে কিছুতেই টলাতে পারলেন না স্টিভ স্মিথরা। শেষ পর্যন্ত ড্র হয়ে গেল চতুর্থ টেস্ট। অ্যাশেজ হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নভঙ্গ হল অস্ট্রেলিয়ার।
টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য এটাই। শেষ ওভারে প্যাট কামিন্স বল তুলে দিলেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথের হাতে। ক্রিজে রয়েছেন অ্যান্ডারসন এবং ব্রড। ইংল্যান্ডের দুই অভিজ্ঞ বোলার। তাঁদের মুখের সামনে ওঁত পেতে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা। কোনও মতে বলটা ব্যাটে লেগে একটু উঠলেই যেন তালু বন্দি করবেন তাঁরা। প্রায় ব্যাটের কাছে হাত নিয়ে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। এমন একটা আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংকে সামলাচ্ছেন অ্যান্ডারসন। আর মাঠের ধারে মুখ ঢেকে বসে বেন স্টোকস। তাঁর লড়াকু ৬০ রানের ইনিংস ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শেষ কাজটা করে আসতে পারেননি তিনি। সেটাই করছেন ব্রডরা। আর তিনি সেই প্রচণ্ড চাপ নিতে না পেরে মুখ ঢেকেছেন জার্সি দিয়ে।
স্মিথের শেষ বলটা ব্যাট দিয়ে মাটিতে বসিয়ে দিলেন অ্যান্ডারসন। ক্যামেরা আবার ধরল স্টোকসের মুখ। শান্তির হাসি ফিরেছে। হাততালি দিচ্ছেন। প্রায় হারতে বসা ম্যাচ বাঁচিয়ে নিল ইংল্যান্ড। দুই ইনিংসে শতরান করা উসমান খোয়াজা ম্যাচের সেরা হলেও ইংল্যান্ডের কাছে সেরা অবশ্যই স্টোকস। দুই ইনিংসেই গুরুত্বপূর্ণ ৬০ রান করে দলকে লড়াইয়ে রেখে দিয়েছিলেন। জনি বেয়ারস্টোর শতরানও ইংল্যান্ড দলের বিশাল প্রাপ্তি।
অ্যাশেজে ইতিমধ্যেই ০-৩ পিছিয়ে ইংল্যান্ড। সিরিজ হেরেই গিয়েছেন। সিডনির মাঠে কোনও মতে মান বাঁচিয়েছেন। এ বার লড়াই হোবার্টে। দিন-রাতের টেস্টে মুখোমুখি হবে জো রুট এবং প্যাট কামিন্সের দল।