India vs Pakistan

‘টাকার লোভেই কেউ মুখ খোলে না’, রিজার্ভ ডে বিতর্কে জয় শাহদের উদ্দেশে তোপ বিশ্বজয়ী অধিনায়কের

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সুপার ফোরের ম্যাচে রিজার্ভ ডে এখনও আলোচনার কেন্দ্রে। সেই প্রসঙ্গে আইসিসি এবং এসিসি-কে তুলোধোনা করলেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৬
Share:

রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।

এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ফাইনালে উঠেছে ভারত। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে হওয়া সুপার ফোরের ম্যাচে রিজার্ভ ডে এখনও আলোচনার কেন্দ্রে। সেই বিষয়ে এ বার আইসিসি এবং এশীয় ক্রিকেট সংস্থার (এসিসি) তুলোধোনা করলেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা। তাঁর দাবি, টাকার জন্যেই কেউ এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলে না।

Advertisement

প্রতিযোগিতার মাঝামাঝি আচমকাই সুপার ফোরের ভারত-পাক ম্যাচে রিজার্ভ ডে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। সেই প্রসঙ্গে রণতুঙ্গা বলেছেন, “এশিয়া কাপ শুরুর আগে এক রকম নিয়ম ছিল। মাঝে আর একটা নিয়ম হয়ে গেল। কোথায় আইসিসি? কোথায় এসিসি? প্রতিযোগিতার মাঝপথে দুটো দলের জন্যে এ ভাবে নিয়ম বদল করা যায় নাকি? আমি মোটেই এটা মানি না। আগামী দিনে বড় বিপর্যয় আসতে পারে।”

এর পরেই তিনি বলেন, “আইসিসি এবং এসিসি-র জন্যে খুব দুঃখ হচ্ছে আমার। ওরা ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের দাপট বজায় রাখতে চায়। প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা এ সব দেখেও মুখ খোলে না। কারণ ওদের টাকা দরকার।”

Advertisement

কৌতুকের জন্যে পরিচিত রণতুঙ্গা। খেলার মাঠেও সেই উদাহরণ রয়েছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েও তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বলেছেন, “আমি অবাক হব না যদি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্যে কোনও রিজার্ভ ডে রাখা হয়। আইসিসি নিশ্চয়ই সব দেখেশুনেও মুখ বন্ধ রাখবে এবং বলবে, ‘ঠিক আছে। যা খুশি করো।’ আইসিসি শুধু মুখেই বড় বড় কথা বলে। কাজের বেলায় কিচ্ছু করে না।”

কলম্বো থেকে ম্যাচ না সরানো নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। রণতুঙ্গা বলেছেন, “হাম্বানটোটা তো বৃষ্টির মরসুমের জন্যেই তৈরি করা, যাতে ওখানে খেলা আয়োজন করা যায়। তা হলে সেখানে ম্যাচ সরানো হল না কেন? সব জেনেশুনেও কলম্বোয় এসে এশিয়া কাপের ম্যাচ আয়োজন করা হল? এসিসি কী করছে?”

রণতুঙ্গার মতে, ভারতীয় বোর্ড প্রবল শক্তিশালী বলেই কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। তাঁর কথায়, “কেন বাকি দেশগুলো এ সব দেখেও কিছু বলছে না? কারণ বিসিসিআই শক্তিশালী, বা কোনও একজন শক্তিশালী। কিন্তু এ ভাবে চলতে পারে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement