অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। ছবি: টুইটার থেকে
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে শতরান। এই প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ২৭৮ রান। সচিন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা, এবি ডিভিলিয়ার্সকে আদর্শ মনে করা অঙ্গকৃষ রঘুবংশীর বাবা জানালেন ওঁরা সকলে উত্তেজিত।
অবনীশ রঘুবংশী নিজে জাতীয় স্তরে টেনিস খেলতেন। এখনও ক্লাব টেনিস খেলেন। তাঁর স্ত্রী মালিকা রঘুবংশী ভারতের হয়ে বাস্কেটবল খেলেছেন। তাঁদের প্রথম সন্তান অঙ্গকৃষ স্বপ্ন দেখেন ভারতের জার্সি গায়ে ক্রিকেট মাঠে নামার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে সেই স্বপ্ন কিছুটা পূরণ হয়েই গিয়েছে। অঙ্গকৃষের এক বছরের ছোট ভাই কৃষাঙ্গ টেনিস খেলে। খেলার জন্য সে রয়েছে স্পেনে, সঙ্গে গিয়েছেন মা। আনন্দবাজার অনলাইনকে অবনীশ বলেন, “অঙ্গকৃষরা খুব উত্তেজিত। ওখানে ওদের সঙ্গে বড় বড় কোচেরা রয়েছেন। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন ওদের চোখে।”
অঙ্গকৃষ ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ৮-৯ বছর বয়সে। পাথওয়েজ ওয়ার্ল্ড স্কুলে পড়ার সময়েই ক্রিকেট শেখা শুরু তাঁর। বাটার চিকেন এবং কালো ডাল খেতে পছন্দ করা অঙ্গকৃষের চোখে ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলাই একমাত্র স্বপ্ন। তবে ক্রিকেট না খেললে গান শুনতে পছন্দ করেন তিনি। গিটারও বাজাতে পারেন ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের এই ওপেনার। অবনীশ বলেন, “ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট ছাড়া কিছু ভাবে না ও। ক্রিকেট মাঠেই বেশির ভাগ সময় কেটেছে ওর। খেলার প্রতি ওর ভালবাসা খুব। তবে ঘুরতে যেতে পছন্দ করে অঙ্গকৃষ। প্যারাগ্লাইডিং, স্কাইডাইভিংও পছন্দ করে ও।”
উগান্ডার বিরুদ্ধে ১৪৪ রানের ইনিংস নজর কাড়ে। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অঙ্গকৃষকে গত পাঁচ বছর ধরে তৈরি করেছেন অভিষেক নায়ার। অবনীশ জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডারকে শুধু নিজের গুরু নয়, জীবনের আদর্শ হিসেবে দেখে অঙ্গকৃষ।
অনেকে অঙ্গকৃষের পুল মারার মধ্যে রোহিতকে খুঁজে পাচ্ছেন। তাঁর বাবা বলেন, “এখন অনেক ছোট অঙ্গকৃষ। রোহিত স্যরের মতো হতে অনেক সময় লাগবে। অঙ্গকৃষ নিজের মতো খেলে। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে, কিন্তু নিজের মতো।”
শুধু ব্যাট হাতে রান করাই নয়, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে দু’টি উইকেটও নিয়েছেন অঙ্গকৃষ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালের আগে বিরাট কোহলীর পরামর্শ পেয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ দল। অবনীশ বলেন, “বিরাট স্যর ওদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিশাল পাওয়া এটা ওদের কাছে।” ১৪ বছর আগে দিল্লির বিরাট দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তাঁর পরামর্শ পেয়ে অঙ্গকৃষরাও কি পারবেন শনিবার ট্রফিটা দেশে আনতে?