লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং মনোজ তিওয়ারি। ছবি: সিএবি।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ১১৯ রানে ৩ উইকেট হারাল অন্ধ্রপ্রদেশ। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বাংলার হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নিলেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক, আকাশ দীপ এবং মহম্মদ কইফ। এখনও ২৯০ রানে পিছিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই উইকেট তুলে নিতে চাইবেন আকাশেরা।
প্রথম দিনের শেষে বাংলা তুলেছিল ২৮৯ রান। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই রাতপ্রহরী কইফের উইকেট হারায় বাংলা। ৩২ রান করে আউট হন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন অভিষেক পোড়েল। তরুণ উইকেটরক্ষক বাংলার লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গী করে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। অভিষেকের ব্যাটে ভর করেই বাংলা ৪০০ রানের গণ্ডি পার করে। প্রশংসা করতে হবে ঈশান পোড়েলেরও। তিনি এক দিক ধরে না রাখলে অভিষেকের পক্ষে রান করা সম্ভব হত না।
অভিষেককে প্রথমে সঙ্গ দেন করণ লাল। ২৪ বলে ১৯ রান করেন তিনি। প্রদীপ্ত প্রামাণিক (৯) এবং আকাশ দীপ (২) খুব বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। এর পরেই তৈরি হয় ব্যাট হাতে দাদাভাইয়ের জুটি। ৪১ রানের জুটি গড়েন পোড়েলেরা। তবে এর মধ্যে পুরো রানটাই অভিষেকের। দাদা ঈশান কোনও রান না করলেও ২৬টি বল খেলে একটি দিক আটকে রাখেন। তাতেই অভিষেক দ্রুত ৭০ রান তুলে নেন। অন্ধ্রের হয়ে ৪ উইকেট নেন ললিত মোহন। দু’টি করে উইকেট নেন কেভি শশিকান্ত, নীতীশ রেড্ডী এবং শোয়েব খান।
ব্যাট করতে নেমে অন্ধ্রের দুই ওপেনার সিআর জ্ঞানেশ্বর (৩৩) এবং প্রশান্ত কুমার (৪১) ৬৪ রানের জুটি গড়েন। ভাল শুরু করলেও বড় রান করতে পারেননি তাঁরা। সেই জুটি ভেঙে দেন বাংলার স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিক। তিন নম্বরে নেমে শাইক রশিদ করেন ৩২ রান। আকাশ দীপের বলে তিনি উইকেটরক্ষক অভিষেকের হাতে ক্যাচ দিতেই দিনের খেলা শেষ করে দেন আম্পায়ার। ক্রিজ়ে রয়েছেন হনুমা বিহারী। অন্ধ্রের অধিনায়ককে ফেরানোই এখন বাংলার বোলারদের মূল লক্ষ্য।