হনুমা বিহারী। —ফাইল চিত্র।
হনুমা বিহারীকে নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সোমবার রঞ্জি ট্রফি থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই সমাজমাধ্যমে বিবৃতি লিখে অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে আর না খেলার কথা জানিয়েছিলেন হনুমা। তাঁর অভিযোগ ছিল, জোর করে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বার হনুমার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থা। তার মাঝেই আবার হনুমাকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
অন্ধ্র বোর্ড জানিয়েছে, হনুমার অভিযোগ খুব বড়। তাই তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিতর্কের মাঝেই হনুমাকে তাঁর ইউটিউব শোয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অশ্বিন। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “হনুমা, তুমি কি তৈরি?” জবাবে হনুমা লেখেন, “তুমি তৈরি থাকলেই আমি তৈরি।” এখন অশ্বিনের ইউটিউব শোয়ে হাজির হয়ে তিনি বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দেন কি না সে দিকেই নজর রয়েছে ক্রিকেট মহলের।
সোমবার নিজের বিবৃতিতে হনুমা লিখেছিলেন, “বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচে দলের ১৭ নম্বর খেলোয়াড়ের উপর চিৎকার করেছিলাম। ও গিয়ে নিজের বাবাকে (যিনি একজন রাজনীতিবিদ) অভিযোগ করে। ওর বাবা রাজ্য সংস্থাকে নির্দেশ দেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত বারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে আমরা ৪১০ তাড়া করে জিতলেও কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।”
হনুমার এই দাবির পরে মুখ খোলেন তাঁর সতীর্থ কেএন প্রুধবিরাজ। তিনি লেখেন, “আমিই সেই ছেলে যাকে আপনারা সবাই খুঁজছেন। যা আপনারা শুনেছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। কেউই খেলাটার থেকে উঁচুতে নয়। আমার আত্মসম্মানও বাকি সব কিছুর থেকে উপরে। যে কোনও মাধ্যমেই ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং খারাপ ভাষা গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই জানে সে দিন কী ঘটেছিল। সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। যে ভাবেই হোক না কেন।”
এর পরেই হনুমা একটি চিঠি পোস্ট করেন। সেই চিঠিতে তাঁর ১৫ জন সতীর্থের সই রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, হনুমার বিরুদ্ধে এক সতীর্থকে খারাপ ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সে দিন কেউ ওই ক্রিকেটারকে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করেননি বা গালিগালাজ করেননি। যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে তা সাজঘরে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে। এতে দলের থেকে সেরাটা বেরিয়ে আসে। অনেক দিন ধরেই তা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি।
তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, দলের স্বার্থে হনুমাকেই আগামী দিনে অধিনায়ক হিসাবে চান। তাঁর সঙ্গে দলের কারওরই সম্পর্ক খারাপ নয় বলে দাবি করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, “হনুমা বরাবর আমাদের মধ্যে থেকে সেরাটা বার করে নিয়ে আসে। ওর নেতৃত্বে আমরা এক হয়ে খেলি এবং সে কারণেই সাত বার নকআউটের যোগ্যতা অর্জন করেছি। রঞ্জি মরসুম আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” এই চিঠিটি এখন নাকি আগে লেখা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। চিঠিতে কোনও তারিখের উল্লেখ নেই।