জাতীয় মহিলা দলের জন্য কোচ খুঁজছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। —ফাইল ছবি।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মন্ধানাদের কোনও কোচ নেই। গত ডিসেম্বরে রমেশ পাওয়ারকে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তখন থেকেই ভারতের জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচের পদ ফাঁকা। নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক অমল মুজুমদার।
নতুন কোচের জন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন পত্র চেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কমপক্ষে ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কাউকে মহিলা দলের কোচ করতে চায় বিসিসিআই। সঙ্গে থাকতে হবে এনসিএ-র ‘সি’ লেভেল কোচিং সার্টিফিকেট। একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার জাতীয় মহিলা দলের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। বোর্ড সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন অমল। তাঁর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি রাজস্থান রয়্যালসের কোচিং স্টাফ হিসাবে কাজ করেছেন অতীতে। তাঁর কোচিংয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই। দু’বছর মুম্বইয়ের কোচ ছিলেন। ২০১৯ সালে ভারত সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ না হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অমলের পরিসংখ্যান যথেষ্ট আকর্ষণীয়। ৪৮.১৩ গড়ে তিনি করেছেন ১১,১৬৭ রান।
হরমনপ্রীতদের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল পাওয়ারের। তাঁকে আর কোচ হিসাবে চাইছিলেন না জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের একাধিক সদস্য। সে কারণে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বোর্ড কর্তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোচ হিসাবে হরমনপ্রীতদের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন হৃষিকেত কানিতকার। তাঁকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
ক্রিকেটের পাশাপাশি নতুন কোচের দায়িত্ব হবে হরমনপ্রীতদের ফিটনেসের মান বাড়ানো। জাতীয় মহিলা দলের একাধিক সদস্যের ফিটনেসে খুশি ছিলেন না পাওয়ার। দায়িত্ব ছাড়ার সময় নিজের রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ২০২৫ সালে মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপ রয়েছে ভারতের মাটিতেই। সেই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করাই লক্ষ্য। হরমনপ্রীতদের জন্য তাই অভিজ্ঞ কোচ নিয়োগ করতে চাইছেন বিসিসিআই কর্তারা।