মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
ইডেনে একটা সময় চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই। ঘরের মাঠে বাংলার বোলারেরা তখন সবে মুম্বইয়ের মিডল অর্ডারের উপর চেপে বসতে শুরু করেছে। এমন সময় হঠাৎ পাল্টা মারের খেলায় মেতে উঠলেন শিবম দুবেরা। কিছু ক্ষণের জন্য ইডেনে যেন বাজ়বল দেখা গেল। কিন্তু ম্যাচ হাত থেকে বার হয়ে যাওয়ার আগেই রাশ টানে বাংলা। মুম্বইয়ের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে চা বিরতির আগে ফের মুম্বইয়ের উপর চেপে বসেন মনোজ তিওয়ারিরা।
অজিঙ্ক রাহানে বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে নেই। মুম্বইকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিবম। ৭৩ বলে ৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বাংলার বোলারদের ঘুম উড়িয়ে দিতে বসেছিলেন তিনি। শিবমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন সূর্যাংশ শেদগে। তিনি ৭৬ বলে ৭১ রান করেন। তাঁদের ১৪৪ রানের ইনিংস না থাকলে প্রথম দিনে মুম্বইকে বেশ বিপাকে ফেলে দিয়েছিল বাংলা।
বাংলাকে ম্যাচে ফেরানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। তিনি তিন উইকেট তুলে নেন। সঙ্গে শিবমের ক্যাচটিও ধরেন। একটি করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল, অঙ্কিত মিশ্র এবং মহম্মদ কাইফ। উইকেট তুলতে এক সময় বল করেন মনোজও। কিন্তু ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে বসেন বাংলার অধিনায়ক। বোলারদের মধ্যে তিনি এবং করণ লাল উইকেট পাননি।
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। টসের সময় দেখা যায় রাহানে নেই। রঞ্জির নক আউটে ওঠার জন্য এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ দুই দলের কাছেই। সেই ম্যাচের প্রথম সেশন শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। সকালে আলো কম থাকার জন্য ম্যাচ শুরু করতে দেরি হয়। ওপেনার পৃথ্বী এবং ভুপেন লালওয়ানি শুরুটা ভাল করেছিলেন। বাংলার বোলারেরা উইকেট নিতে পারছিলেন না। এই ম্যাচে দলে ফেরা ঈশান পোড়েলকে একের পর এক বাউন্ডারি মারছিলেন পৃথ্বী। চোট সারিয়ে দলে ফেরা ওপেনারকে বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল। উইকেট নিতে পারছিলেন না সূরজ সিন্ধু জয়সওয়ালও। তবে তিনি রানটা আটকে রেখেছিলেন। সেই চাপটা কাজে লাগল।
ওপেনার ভুপেনের উইকেটটি তুলে নেন স্পিনার অঙ্কিত মিশ্র। এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। মধ্যাহ্নভোজের ঠিক আগে আউট হয়ে যান পৃথ্বীও। তাঁর উইকেট নেন সূরজ। ৪২ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে যান পৃথ্বী। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে নিজেই ক্রিজ় ছাড়েন তিনি। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আরও দু’টি উইকেট হারায় মুম্বই। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও দু’টি।