মহম্মদ সিরাজ। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-কাণ্ডের পর চমকে গিয়েছে গোটা দেশ। ক্রিকেটারদের মধ্যে যশপ্রীত বুমরার পর পোস্ট করলেন মহম্মদ সিরাজও। কলকাতার হাসপাতালের মধ্যে এক জনকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যে ঘটনায় সরব সকলেই। এ বার সিরাজও মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
গত শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছিল, তা নিয়ে এর আগে বুমরা ছাড়াও আয়ুষ্মান খুরানা, করিনা কপূর খান, সামান্থা, প্রীতি জ়িন্টা, আলিয়া ভট্টেরা মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শুক্রবার সিরাজ একটি পোস্ট করেন। সেখানে গোটা দেশের বিভিন্ন ধর্ষণ কাণ্ডের কথা লেখা রয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়েদের কী করা উচিত নয় তা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক একটি পোস্ট। অনেকেই এই পোস্ট করেছেন। সিরাজের করা পোস্টে লেখা, “ধর্ষণে মেয়েদের দিকে আঙুল তোলার ক্ষেত্রে এ বারের যুক্তি কী?”
বৃহস্পতিবার বুমরা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। তবে তিনি আলিয়ার একটি পোস্ট ইনস্টাগ্রামে স্টোরি দিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, “মেয়েদের পথ বদল করতে বলবেন না, পরিবেশ বদল করুন। সকল মহিলাই ভাল পরিবেশের দাবীদার।”
এর আগে আলিয়া সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, “আরও একটা ধর্ষণ, বুঝলাম মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত নয়। এক দশক আগে নির্ভয়াকাণ্ড নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। আবার একই ঘটনা, কিছুই বদলায়নি। আমরা কী ভাবে আমাদের কর্মস্থলে যাব? এই চিন্তাই যেন কুরে কুরে খাচ্ছে। এই ঘটনা আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মহিলাদের সুরক্ষা আসলে তাদের নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে।’’
আয়ুষ্মান একটি ভিডিয়োয় তাঁর লেখা কবিতা পাঠ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি ছেলে হতাম, তবে আমিও দরজায় ছিটকিনি না দিয়ে ঘুমোতে পারতাম। আমি যদি ছেলে হতাম, তা হলে ঘুরে বেড়াতাম সারা রাত। সকলের মুখে শোনা যায়, মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। আজ যদি চিকিৎসক না হতাম, তবে এ ভাবে মাকে চোখের জল হয়তো ফেলতে হত না। ৩৬ ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ, পুরুষদের লালসার স্বীকার হলাম। যদি ওই পুরুষগুলোর মধ্যে ন্যূনতম নারীসত্তা থাকত। ভাবছি যদি আমি ছেলে হতাম, তা হলে বেঁচে থাকতাম।”