—ফাইল চিত্র
আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে যে আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেট আবার শুরু হবে। রশিদ খানদের বোর্ড রাজি হয়েছে মেয়েদের ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে। আফগানিস্তানে তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর মেয়েদের ক্রিকেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। আফগানিস্তানকে আইসিসির সদস্য পদ থেকে বাদ দেওয়া হবে কি না সেই নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে যায়।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, সরকার এবং আইসিস কার্যকরী কমিটি দোহাতে একটি বৈঠক করে। সরকার সেখানে জানিয়েছে যে, আইসিসির সমস্ত নিয়ম মানতে তারা রাজি। কার্যকরী কমিটির প্রধান ইমরান খোয়াজা বলেন, “খুব ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। সরকার জানিয়েছে যে, আইসিসির নিয়ম মেনে মেয়েদের ক্রিকেট শুরু করা হবে আফগানিস্তানে। শুরুতে কিছু সমস্যা হয়তো হবে। কিন্তু বোর্ডের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। কার্যকরী কমিটি লক্ষ্য রাখবে যে সরকার নিজের কথা রাখছে কি না। সেটা আইসিসিকে জানানো হবে।”
আইসিসির অন্যতম সদস্য আফগানিস্তান। সে দেশের ছেলেদের দল ২০২১ এবং ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। খোয়াজা ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন, রস ম্যাককলাম, রামিজ় রাজা এবং লসন নাইডু।
আফগানিস্তানে তালিবান শাসন শুরু হতেই মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২৫ জন মহিলা ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
২০১০ সালে আফগানিস্তানে মহিলা ক্রিকেট শুরু হলেও ২০১১ সালে প্রতিযোগিতা খেলার কথা ছিল। সেই বছর কাতারে আয়োজন করা হয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর মহিলা টি-টোয়েন্টি। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে নিজেদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল আফগানদের মহিলা দল। কারণ দেশের একাংশে তাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে মহিলা দলকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল।
তবে সব বাধা ছাপিয়ে গত বছরের এপ্রিল মাসে রশিদের দেশের মহিলা দলকে টেস্ট ও এক দিনের ম্যাচ খেলার স্বীকৃতি দিয়েছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। কিন্তু দেশে আরও এক বার তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে আবার মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।