লিটন দাস (বাঁ দিকে) ও শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র
আফগানিস্তানের কাছে এক দিনের সিরিজ়ে হারল বাংলাদেশ। অধিনায়ক বদলে গেলেও হাল ফিরল না। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে হারলেন লিটন দাসেরা। ফলে বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শুরুতেই ধাক্কা খেল বাংলাদশ।
দ্বিতীয় এক দিনের আগে বাংলাদেশের এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবসর ঘোষণা করেন। পরের ২৪ ঘণ্টা জুড়ে নাটক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে ফেরেন তামিম। কিন্তু জানিয়ে দেন, আপাতত দেড় মাস বিশ্রাম নেবেন তিনি। এশিয়া কাপে আবার দলে ফিরবেন। তাই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ দুই এক দিনের ম্যাচের জন্য লিটনকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করে আফগানিস্তান। দলের দুই ওপেনারই শতরান করেন। রহমানুল্লা গুরবাজ় ১২৫ বলে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। ইব্রাহিম জাদরান ১১৯ বলে ১০০ রান করেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ২৫৬ রান। সেখানেই খেলায় পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে অবশ্য আফগানিস্তানের বাকি ব্যাটারেরা রান পাননি। নইলে আরও বেশি রান হত। শেষ দিকে ১৫ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ নবি। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ দু’টি করে উইকেট নেন। এবাদত হোসেন নেন একটি উইকেট।
৩৩২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউ রান করতে পারেননি। শাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। মাত্র ৭২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০ রানের বেশি ব্যবধানে হারবেন শাকিবেরা।
শেষ দিকে দলের রানকে কিছুটা টানেন মুশফিকুর রহিম। তাঁকে সঙ্গ দেন মেহেদি। দু’জনে মিলে দলকে লজ্জার হাত থেকে কিছুটা বাঁচান। মুশফিকুর করেন ৬৯ রান। মেহেদি ২৫ রান করে আউট করেন। মুশফিকুর আউট হওয়ার সঙ্গেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। ৪৩.২ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। আফগানিস্তানের হয়ে ফজলহক ফারুকি ও মুজিব উর রহমান তিনটি করে, রশিদ দু’টি ও নবি একটি উইকেট নেন। ১৪২ রানে ম্যাচ ও সেই সঙ্গে এক দিনের সিরিজ়ে জেতে আফগানিস্তান।