আনন্দবাজার পত্রিকার বার্ষিক ক্রিকেটে তিনটি ম্যাচে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারেরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও আনন্দবাজার পত্রিকার বার্ষিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল। রবিবার এবিপি স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে মোট তিনটি ম্যাচ হল। তার মধ্যে দু’টি পুরুষদের ও একটি মহিলাদের। প্রতিটি ম্যাচেই হয়েছে টানটান লড়াই। তিনটি ম্যাচ ঘিরেই আগ্রহ ছিল দেখার মতো।
প্রথম ম্যাচ ছিল ‘হকস’ বনাম ‘ইগলস’-এর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান করে হকস। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন ত্রিদীপ মজুমদার। অতিরিক্ত ২২ রান দেন ইগলসের বোলারেরা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ইগলসের। তাদের টপ অর্ডার রান পায়নি। কিন্তু সায়ক বসু ও সুবীর পালের জুটি দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। সায়ক ১৫ ও সুবীর ২৭ রান করেন। শেষ দিকে নেমে শুভঙ্কর দাস ৪ বলে ১২ রান করেন। চার বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ইগলস। ব্যাটে-বলে ভাল খেলায় ম্যাচের সেরা হন সুবীর পাল।
জয়ের উল্লাস। রবিবার এবিপি স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে। —নিজস্ব চিত্র।
দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন মহিলারা। খেলা ছিল ‘হোয়েলস’ বনাম ‘শার্কস’-এর মধ্যে। প্রথমে ব্যাট করতে নামে হোয়েলস। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করে তারা। ওপেন করতে নেমে সুদীপ্তা চৌধুরী সরকার ১৮ রান করেন। আর এক ওপেনার সারা খৈতান করেন ৩৩ রান। জবাবে শার্কসের শুরুটা ভাল হলেও ওপেনিং জুটি ভাঙার পর আর কোনও জুটি হয়নি। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন খুশি প্রিয়দর্শিনী। হোয়েলসের হয়ে সায়নী ঘটক ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করে তারা। ২০ রানে ম্যাচ জেতে হোয়েলস। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সায়নী ঘটক।
হোয়েলস বনাম শার্কস ম্যাচের একটি মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র।
দিনের শেষ খেলা ছিল ‘লায়ন্স’ বনাম ‘টাইগার্স’-এর। এই খেলাও শেষ পর্যন্ত যায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান করেন লায়ন্স। তাদের হয়ে কৌশিক পাল ১৩ ও ইন্দ্রজিৎ সমাদ্দার ২৪ রান করেন। অতিরিক্ত ২২ রান দেন টাইগার্সের বোলারেরা। টাইগার্সের হয়ে সৌরভ পাল ৪ রান দিয়ে ৩ ও অধিনায়ক চন্দন বিশ্বাস ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
লায়ন্স বনাম টাইগার্স ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিয়মিত উইকেট পড়লেও রান তোলার গতি খারাপ ছিল না টাইগার্সের। কারণ, অতিরিক্ত হিসাবে ২১ রান দেন লায়ন্সের বোলারেরা। সেটাই তাদের হারের বড় কারণ। খেলা গড়ায় শেষ ওভারে। ম্যাচ জিততে শেষ ৬ বলে ১০ রান করতে হত। সৌমেন দাস পর পর দু’বলে চার ও ছক্কা মেরে এক বল বাকি থাকতে টাইগার্সকে জিতিয়ে দেন। এই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন সৌরভ পাল।
তিন ম্যাচের তিন সেরা ক্রিকেটার। (বাঁ দিক থেকে) সৌরভ পাল, সায়নী ঘটক ও সুবীর পাল। —নিজস্ব চিত্র