বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
ফিটনেস নিয়ে সব সময় সচেতন থাকেন বিরাট কোহলি। খাদ্যতালিকা নিয়েও সদা সতর্ক ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিশ্বকাপের সময়ও ক্রিকেটীয় প্রস্তুতির পাশাপাশি কোহলির কড়া নজর থাকছে খাবারের দিকে। নিজেকে ফিট রাখতে কী খাচ্ছেন তিনি? ফাঁস করে দিয়েছেন একটি হোটেলের রাঁধুনি।
গত কয়েক বছর ধরে মাছ, মাংস খান না কোহলি। নিরামিষ খাবারই থাকে তাঁর খাদ্যতালিকায়। বিশ্বকাপের সময়ও সেই অভ্যাস পরিবর্তন করেননি। শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে কোহলি খাচ্ছেন তোফু এবং সয়াবিন জাতীয় খাবার। মাছ বা মাংস ছুঁয়েও দেখছেন না তিনি। হোটেলের এক্সিকিউটিভ শেফ অংশুমান বালি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দলের খাবার টেবিলে আমরা নানা রকম মাংস এবং মাছের পদ রেখেছিলাম। কোহলি সে সবের কিছুই নেননি। ভারতীয় দলের বাকি ক্রিকেটারেরা সেদ্ধ এবং গ্রিল করা মাছ, মাংসের পদগুলি খেয়েছেন। কোহলির জন্য আমরা বিশেষ কিছু পদ তৈরি করেছিলাম। বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে রান্না করা হয়েছিল পদগুলি। খুব অল্প তেল বা মশলা ব্যবহার করা হয়েছিল। মূলত সেদ্ধ সবজি, সয়াবিন, মক মিট, মোমো, তোফুর বিভিন্ন পদ ছিল কোহলির জন্য। কোনও কোনও খাবারে অল্প দুধজাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে।’’
নিউ জ়িল্যান্ড দলও একই হোটেলে ছিল। কেন উইলিয়ামসনদের জন্য আবার অন্য ধরনের খাবার তৈরি করতে হয়েছিল হোটেলের রাঁধুনিদের। অংশুমান বলেছেন, ‘‘আইপিএলের সময় আমাদের হোটেলে নিউ জ়িল্যান্ডের কয়েক জন ক্রিকেটার ছিলেন। নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা ভারতীয় মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলেন সাধারণ ভাবে। তবে ডেভন কনওয়ের মতো কয়েক জন ভারতীয় খাবার চান। ইডলি, ধোসা, পরোটার মতো খাবার থাকত নিউ জ়িল্যান্ডের কয়েক জন ক্রিকেটারের জন্য। সে সব তৈরি করা হত মিলেট দিয়ে। যাতে ক্রিকেটারদের শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পায়। যেমন ভারতীয় দলের প্রাতরাশে রাগির তৈরি ধোসা থাকত। অনেক ক্রিকেটার এই ধোসা পছন্দ করেন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা তাদের দেশের পাভলোভা এবং তাজা ফল পছন্দ করেন। একমাত্র বড় জয় পেলেই নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা বিয়ার অর্ডার করেন। কেউ কেউ অল্প মদ্যপান করতে ভালবাসেন। তা ছাড়া এ সব ছুঁয়েও দেখেন না কেউ।’’
বিভিন্ন ক্রিকেটারের পছন্দের খাবার আলাদা। বড় প্রতিযোগিতার সময় খাবার নিয়ে অনেকেই ভীষণ খুঁতখুঁতে থাকেন বলে জানিয়েছেন অংশুমান। তবে কোহলি কখনও নির্দিষ্ট খাবারের বাইরে মুখে তোলেন না।