(বাঁ দিকে) গত বছরের কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা এবং কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। —ফাইল চিত্র।
এক দিনের বিশ্বকাপ এবং আন্তর্জাতিক সূচির জন্য বেশ কয়েক জন বিদেশি ক্রিকেটার গত আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। আগামী আইপিএলে তাঁদের কয়েক জনকে আবার দেখা যাবে। তাতে মিটতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং সমস্যা।
২০২৪ সালে আইপিএল খেলতে আগ্রহী বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ২০২২ সালে কেকেআরের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন। বিশ্বকাপের জন্য গত বছর আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। আবার তাঁকে দেখা যেতে পারে কলকাতার হয়ে মাঠে নামতে। কামিন্স ফিরলে কেকেআরের বোলিং সমস্যার সমাধান হতে পারে।
কামিন্স ছাড়াও আগ্রহী বিদেশিদের তালিকায় রয়েছেন ট্র্যাভিস হেড, ক্রিস ওকস, অ্যালেক্স হেলস, সাম বিলিংস এবং জেরাল্ড কোয়েৎজ়ি। এরাঁ সকলে ২০২৪ সালের আইপিএলের নিলামে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। মিচেল স্টার্কেও দেখা যেতে পারে আগামী বছরের আইপিএলে। ২০২৪ সালের আইপিএলের জন্য দুবাইয়ে নিলাম হবে ১৯ ডিসেম্বর। এখনও বেশ কয়েক দিন সময় রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগ্রহী বিদেশি ক্রিকেটারের তালিকা আরও বড় হতে পারে।
সব থেকে বেশি টাকা রয়েছে পঞ্জাব কিংসের হাতে। তারা খরচ করতে পারবে ১২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। সব থেকে কম ৫ লক্ষ টাকা রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাতে। কেকেআরের কাছে রয়েছে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৬ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা, গুজরাত টাইটান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৪ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা, লখনউ সুপার জায়ান্টসের হাতে ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা, রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা এবং চেন্নাই সুপার কিংসের ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা রয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রের খবর, ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে ১০ কোটি টাকা করে মোট ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে এখনও সরকারি সিদ্ধান্ত জানায়নি আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।