টেস্ট সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হার। ছবি: রয়টার্স
টেস্ট সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হার। এক দিনের সিরিজে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে রবিবার মাঠে নামবে ভারত। জিতলেও সিরিজ জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দু’টি সিরিজই হেরে ঘরে ফিরবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
বিরাট-বিতর্ক
দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিতর্কের শুরু। বোর্ড সভাপতির দাবি নাকচ করে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলী। সেই আগুন ধিকিধিকি জ্বলল গোটা সফরেই। সিরিজ হেরে টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন কোহলী। সেই প্রভাব যে সাজঘরেও পড়েছে তা বলাই যায়। হারের পিছনে বিরাট কোহলীর অধিনায়কত্ব ছাড়া যে একটি কারণ তা বলাই যায়।
ব্যাটিং ব্যর্থতা
টেস্টে চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রহাণে বার বার ব্যর্থ। ওপেনাররা ব্যর্থ হলে ভারতীয় ব্যাটিংকে টেনে নিয়ে যেতে পারলেন না দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ভারতীয় মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা এখনও সারেনি। এক দিনের ক্রিকেটেও রান তাড়া করা হোক বা প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তোলা, সবেতেই ব্যর্থ মিডল অর্ডার। রান পেলেন না শ্রেয়স আয়াররা। গোটা সিরিজে মিডল অর্ডার নিয়ে বার বার সমস্যায় পড়তে হয়েছে ভারতকে।
বোলিং ব্যর্থতা
টেস্টে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি। তিন ম্যাচে ১৪টি। কিন্তু প্রথম তিনে কোনও ভারতীয় নেই। এক দিনের সিরিজে আবার শামি নেই। তিন টেস্টে অশ্বিন নিয়েছেন মাত্র তিন উইকেট। এক দিনের সিরিজে মাত্র একটি। বুমরা টেস্ট সিরিজে নিয়েছেন ১২টি উইকেট, একদিনের সিরিজে তিনটি। বোলাররা উইকেট নিতেই পারছেন না সাদা বলের ক্রিকেটে। ভুবনেশ্বর কোনও উইকেটই পাননি। এই ব্যর্থতা দলকে যে বিপদে ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।
অনভিজ্ঞ অধিনায়ক রাহুল
প্রথম টেস্টে জেতার পর, দ্বিতীয় টেস্টে চোটের জন্য খেলতে পারলেন না বিরাট কোহলী। দলকে নেতৃত্ব দিলেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু সেই ম্যাচ তাঁর ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুনীল গাওস্কর। ডিন এলগারদের দলকে খুব সহজে এক রান, দু’রান নিতে দিল ভারত। বাউন্ডারি না পেলেও সিঙ্গলস নিয়ে চাপ কাটিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক দিনের সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারের পর একই দল নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে নামে ভারত। ভুলগুলিও শুধরে নিতে দেখা গেল না দলকে। হারতে হল দ্বিতীয় ম্যাচও। অধিনায়ক বিরাট যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ভারতের আগ্রাসী ছবিটাও কি চলে গেল?
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজে এগিয়ে রয়েছে দল। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দিয়েছিল ভারত। কিন্তু ‘দুর্বল’ প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সেই আত্মবিশ্বাসটাই কি অতিরক্ত আত্মবিশ্বাস হয়ে গেল? প্রথম টেস্ট জিতে তা আরও খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল। সেই ফাঁক দিয়েই ঢুকেই ভারতীয় দলকে লজ্জার মুখে ফেলে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা।