করোনার মৃত্যুর প্রকোপ দেখা গিয়েছে খেলাধুলোতেও।
কোভিডে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো খেলাধুলোও তার প্রকোপ থেকে বাঁচেনি। বিভিন্ন বড় প্রতিযোগিতা যেমন বাতিল হয়েছে, তেমনই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আমাদের ছেড়ে চলেও গিয়েছেন অনেকে। সে রকমই বিভিন্ন খেলায় কিছু প্রয়াত খেলোয়াড়ের কথা তুলে ধরা হল:
ক্রিকেট
গত ৫ মে রাজস্থানের প্রাক্তন লেগ-স্পিনার এবং রঞ্জি ট্রফি জয়ী দলের সদস্য বিবেক যাদব প্রয়াত হন। ২০১০-১১ মরসুমে রাজস্থানের হয়ে ফাইনালে খেলেছিলেন তিনি। তার আগে ১ মে মারা যান প্রাক্তন নির্বাচক কিশান রুংতা। মধ্যাঞ্চলে বোর্ডের নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছিলেন। গত বছর অগস্টে মারা গিয়েছিলেন চেতন চৌহান। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট এবং ৭টি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। দীর্ঘদিন সুনীল গাওস্করের সঙ্গে ওপেন করেছেন। তার কয়েকমাস আগে বীরেন্দ্র সহবাগ, গৌতম গম্ভীরদের ছোটবেলার কোচ সঞ্জয় দোবাল মারা যান।
ফুটবল
গত পরশুই মারা গিয়েছেন ১৯৬২ এশিয়াডে সোনাজয়ী দলের সদস্য ফরচুনাতো ফ্র্যাঙ্কো। ভারতের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন তিনি। গত মাসে মারা যান ১৯৫৬ অলিম্পিক্সে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-২ হারানোর নায়ক আহমেদ হুসেন। বাংলার অলিম্পিয়ান নিখিল নন্দী চলে গিয়েছিলেন গত বছরের শেষের দিকে। তিনিও মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে খেলেছেন। তার আগে গত বছর জুন মাসে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন ফুটবলার ই হামসাকয়া মারা যান।
হকি
গত ৮ মে একই দিনে ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী দলের সদস্য রবীন্দ্র পাল সিংহ এবং মহারাজ কৃষণ কৌশিক প্রয়াত হন। কৌশিক রাইট-আউট হিসেবে খেলতেন। তিন সপ্তাহ করোনার বিরুদ্ধে লড়েছেন। গত ১০ মে জর্জ ফার্নান্ডেজ প্রয়াত হন। কর্নাটকের জুনিয়র দলের হয়ে খেলেছেন। তার আগে ভারতের হয়ে জুনিয়র স্তরে খেলা ওড়িশাল সঞ্জীব বারলা প্রয়াত হন।
অন্যান্য
চন্দ্রো তোমর, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘শুটার দাদি’ নামে, গত শুক্রবার তিনি প্রয়াত হয়েছেন। মেরঠের এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। তাঁকে নিয়ে বলিউডে একটি সিনেমাও হয়েছে। অর্জুন পুরস্কারপ্রাপক এবং প্যারা-ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় রমেশ টিকারাম প্রয়াত হন ২০২০-র জুলাইয়ে। আন্তর্জাতিক বডিবিল্ডার জগদীশ লাডও চলে যান গত বছর।