পাকিস্তানের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন শোয়েব উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন সরকারকে। ছবি ভিডিয়োগ্রাফ থেকে নেওয়া।
পাকিস্তানে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতার অভাব চোখে পড়েছে শোয়েব আখতারের। বিপদের গুরুত্ব বুঝতে না পারার জন্য দেশবাসীকে ধিক্কার জানিয়েছেন প্রাক্তন পেসার।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। পাকিস্তানেও এখনও পর্যন্ত সাতশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত। এই ব্যাপারে সতর্কতার অভাবেই ক্ষুব্ধ শোয়েব।
ইউটিউব ভিডিয়োতে শোয়েব আখতার বলেছেন, “বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলাম। কারও সঙ্গে করমর্দন করিনি। কাউকে জড়িয়েও ধরিনি। পুরো সময়ই আমার গাড়ির জানলা বন্ধ ছিল। যতটা সম্ভব দ্রুত বাড়িতে ফিরেছি। কিন্তু বাইরে একটা খুব ভয়ের ছবি দেখলাম। একটা বাইকে দেখলাম চার জন যাচ্ছে। ওরা পিকনিকের জন্য যাচ্ছিল। মানুষ বাইরে একসঙ্গে খাচ্ছে, একসঙ্গে সফর করছে। রেস্তোরাঁ কেন এখনও খোলা রয়েছে? কেন এগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না?”
আরও পড়ুন: পিছিয়েই যাচ্ছে অলিম্পিক? জাপানের মন্তব্যে গেমস হওয়া নিয়েই সংশয়
আরও পড়ুন: ‘এরাই দেশের করোনাভাইরাস’, তীব্র আক্রমণে রুবেল হোসেন
এর পর ভারতের উদাহরণ দিয়ে শোয়েব বলেছেন, “ভারতে জনতাই কার্ফু জারি করেছে। অথচ, এখানে আমরা লোকজনকে ঘোরাঘুরি করা থেকে আটকাতে পারছি না। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই করোনা হচ্ছে মানুষের সংস্পর্শ থেকে। কিন্তু তার পরও আমরা ঘরে আটকে থাকছি না। আমরা এটা কী করছি? এটা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আমরা কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে খেলছি।”
ইমরান খানের পাকিস্তান সরকারকে পুরো দেশে লকডাউন জারি করার অনুরোধ করেছেন আখতার। তাঁর কথায়, “এটা যে কত বড় বিপদ, সেটা বুঝতে ভুল করেছি আমরা। গরমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে না বা তরুণদের সংক্রমণ করবে না, এই সব কথায় বিশ্বাস করবেন না একদম। মানুষজন এখনও নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ, এখন প্রয়োজন ঘরের মধ্যে থাকা। এই কারণেই পাকিস্তান সরকারকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ করব। যেন লকডাউন করে দেওয়া হয়। দয়া করে শহরগুলোকে লকডাউন করুন। শুরুতে লকডাউন না করে মস্ত ভুল করেছিল ইটালি। সেখানে প্রতি দিন মৃত্যু ঘটছে মানুষের। পাকিস্তান সরকার যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার সময় নির্দিষ্ট করে বেঁধে দেয়। আর লকডাউন জারি করে। দুঃখের হলেও বলতে হচ্ছে যে পাকিস্তানের মানুষরা কথা শুনছে না। এখনও ওরা পিকনিক করতে ব্যস্ত। ব্যস্ত উৎসবেও।”