দৃষ্টান্ত: পোর্তো আলেগ্রিতে ত্রাণ নিয়ে প্রাক্তন ব্রাজিল কোচ। রয়টার্স
ফুটবলের ময়দানে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা মানেই ধুন্ধুমার লড়াই। তবে করোনা-অতিমারির জেরে বিপর্যস্ত আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষদের সাহায্যে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের দুই ফুটবলার। এক জন ১৯৯৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল দলের অধিনায়ক দুঙ্গা। দ্বিতীয় জন আর্জেন্টিনার আন্দ্রেস নিকোলাস দি’আলেসান্দ্রো। এ ছাড়াও এডমিলসন, জর্জিনহো, পাওলো সিজারের মতো ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকারাও রয়েছেন তাঁদের পাশে।
দুঙ্গার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দীর্ঘ দিন ধরেই ব্রাজিলের অনাথ শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য কাজ করছে। এ বার করোনায় বিপর্যস্ত মানুষদের সাহায্য করতেও এগিয়ে এল। মঙ্গলবার পোর্তো আলেগ্রিতে দশ টন খাদ্যসামগ্রী বিলি
করেছেন দুঙ্গা। এর জন্য গত কয়েক দিন ধরেই তিনি ব্যস্ত ছিলেন ব্রাজিলের বিভিন্ন সুপার মার্কেট, খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুকারক সংস্থা এবং পণ্যপরিবহণকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করতে।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুঙ্গা বলেছেন, ‘‘এই দুঃসময়ে অসংখ্য মানুষ গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। উপার্জন বন্ধ। অভুক্ত রয়েছেন। এই দৃশ্য দেখার পরে বন্ধুদের বলি, এখনও আমি ফুটবল খেলতে পারি। এই পরিস্থিতিতে চল আমরাও কিছু করি ওঁদের জন্য।’’ শুধু বন্ধুদের ফোন করে সাহায্যই চাননি দুঙ্গা, নিজের হাতেই ফল ও সবজিwwর বাক্স ট্রাকে তুলেছেন। তাঁকে সাহায্য করেছেন দি’আলেসান্দ্রো, জর্জিনহোরা।
পোর্তো আলেগ্রিতেই ইন্টারনাসিয়োনালের হয়ে খেলতেন দি’আলেসান্দ্রো। তাই আর্জেন্টিনার নাগরিক হলেও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ব্রাজিলের মানুষদের সাহায্য করতে। তাঁকেও দেখা গিয়েছে দুঙ্গার সঙ্গে ট্রাকে খাদ্যসামগ্রী মজুত করতে। ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা বলেছেন, ‘‘প্রাক্তন ফুটবলার হলেও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। ভাবুন, যারা এখন খেলছে তারা কী করতে পারে।’’ ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম অবশ্য দাবি করেছে, নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র), রবের্তো ফির্মিনো এবং পাওলিনহো ইতিমধ্যেই নিজেদের অঞ্চলের মানুষদের সাহায্য করেছেন।