ক্ষুব্ধ: ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে তিক্ততা কমছে না মেসির। ফাইল চিত্র
এক মাস আগেই বার্সেলোনার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি এরিক আবিদালের সমালোচনা করে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়েছিল লিয়োনেল মেসির। এ বার স্পেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আবহে সেই তিক্ততা ফের বাড়তে চলেছে বলে অনুমান ফুটবল বিশেষজ্ঞদের।
কী হয়েছে এ বার? সোমবারেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মেসি জানিয়ে দিলেন, করোনাভাইরাসের অতিমারিতে বার্সেলোনার ফুটবলারেরা ৭০ শতাংশ বেতন কম নেবেন। যাতে ক্লাবের অন্যান্য কর্মীরা পুরো বেতন পেতে পারেন এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতে। এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করার পাশাপাশি মেসি একহাত নেন বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমিউয়ের নেতৃত্বাধীন ক্লাব প্রশাসনকেও। যার ফলে মেসি ও বার্সার সম্পর্ক ফের তিক্ততার দিকে গড়াতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। স্পেনের অন্য ক্লাবগুলিও করোনা সংক্রমণের দুরাবস্থায় ফুটবলারদের বেতন কাটছাঁট করতে পারে বলে অনুমান। আতলেতিকো দে মাদ্রিদ কর্মীদের বেতন কমাতে পারে বলে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এস্প্যানিয়লও সেই পথে হাঁটবে বলেই খবর।
মেসি এ দিন ইনস্টাগ্রামে নিজের বক্তব্য জানিয়ে লেখেন, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে পরিস্থিতি খুব খারাপ। এই অবস্থায় জানাচ্ছি, ৭০ শতাংশ বেতন কম নেওয়ার পাশাপাশি আমরা আরও কিছু পদক্ষেপ করছি। যাতে ক্লাবের কর্মীরা পুরো বেতন পেতে পারেন।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আরও বিশদে জানাতে চাই, বেতন কম নেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিলই। কারণ এই মুহূর্তে একটা ব্যতিক্রমী সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা। আর সব সময়েই ক্লাব যখন বিপদে পড়েছে তখন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি আমরা। কখনও কখনও ফুটবলারেরা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নিজেদের উদ্যোগেই পদক্ষেপ করেছি।’’ এর পরেই মেসি লেখেন, ‘‘ক্লাবের মধ্যে থেকে কয়েক জন আমাদের সব সময়ে আতস কাঁচের তলায় রেখে পর্যবেক্ষণ করেন। আমাদের উপরে চাপ বাড়িয়ে তাঁরা এমন কিছু করাতে চান, যেটা আমরা আগে থেকেই করব বলে মনস্থ করেছিলাম। সুতরাং আমরা কখনও এগুলো দেখে অবাক হই না।’’
মেসির করা এই মন্তব্য থেকেই বিতর্ক বাড়তে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। আরও ইঙ্গিতপূর্ণ ব্যাপার হল, মেসির এই বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার কিছু পরেই বার্সায় তাঁর সতীর্থ জেরার পিকে, সের্খিয়ো বুস্কেৎস, লুইস সুয়ারেস, জর্ডি আলবা, আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান, অর্তুরো ভিদাল, মার্ক-আন্দ্রে তার স্তেগানদের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজেও এই বক্তব্য দেখা গিয়েছে। যা বিতর্ক বড়সড় হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মেসির এই বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পরেই বার্সেলোনাও বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেয়, ‘‘ক্লাবের সব পেশাদার খেলোয়াড়দের একটা বড় অংশ তাঁদের বেতন কম নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। ফুটবলের প্রথম দলের খেলোয়াড়রা ৭০ শতাংশ বেতন কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’