Dipa Karmakar

অলিম্পিক্স স্থগিত, ফেরার লক্ষ্যে ট্রেনিং শুরু করলেন দীপা

প্রোদুনোভা ভল্ট নতুন করে নেওয়ার ঝুঁকি না নিলেও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যেই আছেন রিয়ো অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান পাওয়া দীপা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০৩:৩০
Share:

আশাবাদী: টোকিয়োর ছাড়পত্র পাবেন, বিশ্বাস দীপার। ফাইল চিত্র

টোকিয়ো অলিম্পিক্স প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁর ফিরে আসার দরজা আবার খুলে যেতে পারে মনে করেন দীপা কর্মকার। শুক্রবার আগরতলার বাড়ি থেকে ফোনে ভারতের সর্বকালের সেরা জিমন্যাস্ট বললেন, ‘‘প্রায় ১৪ মাস পিছিয়ে যাচ্ছে অলিম্পিক্স। শুনতে পাচ্ছি, যোগ্যতামান পাওয়ার জন্য নতুন নির্দেশও জারি হবে। ফলে যে রাস্তাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে মনে হচ্ছিল, সেটা মনে হয় এ বার খুলে যাবে।’’

Advertisement

প্রোদুনোভা ভল্ট নতুন করে নেওয়ার ঝুঁকি না নিলেও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যেই আছেন রিয়ো অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান পাওয়া দীপা। চোটের জন্য গত প্রায় এক বছর বিশ্ব জিমন্যাস্টিক্স-সহ বিভিন্ন যোগ্যতানির্ণায়ক প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি তিনি। তুরস্ক বিশ্বকাপে সোনা জেতা দীপা শেষ নামেন গত ফেব্রুয়ারিতে আজ়েরবাইজানে। ফাইনালে চোট পান। টোকিয়োর ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য বাকি ছিল দু’টো বিশ্বকাপে পদক পেতেই হত তাঁকে। যা অসম্ভব ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তিনি।

চোট সারিয়ে দু’সপ্তাহ আগে পুরোদমে অনুশীলনে ফিরেছেন আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে সোনার মেয়ে। কিন্তু এখন লকডাউন চলছে। তাই বাড়িতেই রিহ্যাব করছেন দীপা। তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী বলছিলেন, ‘‘টোকিয়ো অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে দীপা এত খুশি হয়েছে যে, পারলে কালই অনুশীলনে নেমে পড়তে চায়। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। করোনাভাইরাসের জন্য এখন বাড়ির বাইরে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা আছে। স্টেডিয়াম তো বন্ধ। তাই কিছু ট্রেনিং-এর সূচি করে দিয়েছি। সেগুলোই করছে।’’

Advertisement

দীপা দাবি করলেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি হওয়ার শারীরিক সক্ষমতাও রয়েছে তাঁর। বলছিলেন, ‘‘স্যর যে ভাবে এগোতে বলবেন, সে ভাবে এগোব। মনে হচ্ছে টোকিয়োতে নামার যোগ্যতা পেয়ে যাব। এখনও তো এক বছর হাতে আছে।’’ করোনা আক্রান্তদের জন্য জন্য যে বিশেষ তহবিল তৈরি হয়েছে, তাতে অর্থ দান করতে চান তিনি। কোচ ও বাবার সঙ্গে কথা বলে দু’একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবেন দীপা। কোচ বিশ্বেশ্বরবাবু বললেন, ‘‘লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার তারিখ ঠিক হয়ে গেলে দীপাকে সেখানে নামাব। তবে ও প্রোদুনোভা করবে না। অন্য যে দুটি ভল্ট ও ভাল দেয়, সেটাই করবে। ভল্ট এবং অল রাউন্ড অ্যাপারেটাস বিভাগে যোগ্যতা পাওয়ার জন্যই দীপা চেষ্টা করবে। শুনতে পাচ্ছি, টোকিয়োর জন্য নতুন করে যোগ্যতা পাওয়ার পরীক্ষা দিতে হবে সবাইকে। আমার আশা ও কিছু করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement