ট্রফিতে চুম্বন মেসির। ছবি রয়টার্স
এই মুহূর্তটাই দেখতে চাইছিল বিশ্ব। এই মুহূর্তটাই দেখতে চাইছিলেন তাঁর অগণিত অনুরাগীরা। লিয়োনেল মেসির হাতে আন্তর্জাতিক ট্রফি। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের পর। এই রাত হয়তো কোনওদিন ভুলতে পারবেন না মেসি।
এর আগে একাধিক বার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশের হয়ে একটা ট্রফি জেতার বদলে নিজের সমস্ত ব্যালঁ দ্য অর বা বাকি ব্যক্তিগত ট্রফি দিয়ে দিতে চান। তবে সেটা তাঁকে করতে হচ্ছে না। যে ট্রফি খোদ দিয়েগো মারাদোনা পর্যন্ত হাতে তুলতে পারেননি, সেটাই আজ থেকে মেসির ক্যাবিনেটে শোভা পাবে।
ম্যাচের পর তাই ঘোর কাটছিল না মেসির। আর্জেন্টিনার ফুটবলার বললেন, “বহু বার কাছাকাছি এসেও ট্রফি পাইনি। তবে জানতাম একদিন মুহূর্তটা আসবে। এই মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ। ব্রাজিলের মাটিতে ওদের বিরুদ্ধে জেতা স্বপ্নের থেকে কম নয়। ঈশ্বর বোধহয় আমার জন্য এই মুহূর্তটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।”
মেসির সংযোজন, “আমরা কী করে ফেলেছি সেটা বোধহয় নিজেরাই এখনও বুঝতে পারিনি। এত খুশি হচ্ছে বলে বোঝানো যাবে না। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ব্রাজিলে জেতা এই ম্যাচ ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়ে গিয়েছে। বহু বার হারের স্বাদ পেয়েছি, দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু জিততে পারি এই বিশ্বাসটা বরাবর ছিল।”
নেমারের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হয়েছেন মেসি। সোনার বল ভাগ করে নিয়েছেন কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজের সঙ্গে। দু’জনেই চারটি করে গোল করেছেন। খেলা শেষ হওয়ার পরেই সতীর্থরা দৌড়ে যান মেসির দিকে। তাঁকে নিয়ে লোফালুফি খেলতে থাকেন।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন মেসি। পিছনে লেখা ‘চ্যাম্পিয়ন’। ছবি রয়টার্স
মেসি প্রশংসা করেছেন কোচ লিয়োনেল স্কালোনিরও। বলেছেন, “ও যা করেছে তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। তিন বছর আগে একটা কাজ শুরু করেছিল। তারপর থেকে আমরা প্রতিনিয়ত উন্নতি করেছি। একটা শক্তিশালী দল তৈরি করেছে ও। আমি আগেই বলেছিলাম এটা আমাদের ভবিষ্যতের দল। দেখা গেল আমি ভুল বলিনি।”