আবার বিতর্ক পাকিস্তানে। প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভলিনে সোনাজয়ী আরশাদ নাদিমের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেখানে প্রথমে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল পাকিস্তানের পদকজয়ী হকি খেলোয়াড়দের। কিন্তু পরে তাঁদের আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হকি তারকারা।
প্রকাশ্যে সরকারের নিন্দা করেছেন হকি তারকারা। অলিম্পিক্সে পদকজয়ী হকি খেলোয়াড় রাও সালিম নাজিম বলেন, “অনেক হকি তারকাকে ইমেলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ছিল নৈশভোজ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনেককে জানানো হয়, অতিথি বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের আমন্ত্রণ বাতিল করা হচ্ছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অলিম্পিক্সে দেশকে সম্মান এনে দেওয়া খেলোয়াড়দের অসম্মানিত করা হয়েছে।”
এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না হকি তারকারা। তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করছেন। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের আগে থেকেই বিষয়টি বোঝা উচিত ছিল। প্রথমেই আমন্ত্রণ না জানালে তাঁরা কিছু মনে করতেন না। কিন্তু আমন্ত্রণ জানিয়ে আবার তা বাতিল করা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি, সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যদিও এই বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর দফতর এখনও কিছু জানায়নি।
পাকিস্তানের ৩২ বছরের পদকের খরা কাটিয়েছেন আরশাদ। কিন্তু তিনি বাদে পাকিস্তানের কোনও খেলোয়াড় পদক জিততে পারেননি। আরশাদ মনে করেন, পাকিস্তানের মহিলা খেলোয়াড়ের ঠিক মতো পরিকাঠামো পান না। নইলে আরও পদক জিততে পারতেন তাঁরা। অলিম্পিক্স শেষে পাকিস্তানে ফিরে সে দেশের মহিলা খেলোয়াড়দের পরিকাঠামো নিয়ে সরব হয়েছেন আরশাদ। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমে আরশাদ বলেন, “আমাদের মহিলা খেলোয়াড়দের জন্য ভাল পরিকাঠামোর খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাদের ঠিক মতো তৈরি করতে হবে। খেলাধুলোর ভাল পরিকাঠামোর পাশাপাশি পড়াশোনার উন্নতিরও প্রয়োজন।”
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভাল পারফর্ম করতে পারেননি আরশাদ। তাই প্যারিসে নামার আগে চিন্তায় ছিলেন তিনি। আরশাদ বলেন, “প্যারিসে গিয়ে তিন-চার রাত ঘুমোতে পারিনি। খুব চিন্তা হত। একটাই প্রার্থনা করতাম, ফাইনালের আগে যেন চোট না লাগে। দেশের হয়ে সোনা জেতার স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।”