লভলিনার চোখ প্যারিসে। ফাইল ছবি।
কমনওয়েলথ গেমসে কোয়ার্টার ফাইনালেই হেরে গিয়েছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পদকজয়ী লভলিনা বরগোহাঁই। তাতে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। হেরে যাওয়ার দুঃখে রাতের ঘুমও নষ্ট করতে চান না। বরং তাঁর দাবি, কমনওয়েলথ গেমসের কোনও গুরুত্বই নেই। সাফল্য না পাওয়াতেই কি এখন তাঁর কাছে ‘আঙুর ফল টক’!
মহিলাদের বক্সিংয়ের ৭০ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গিয়েছেন লভলিনা। এই বিভাগ থাকবে না প্যারিস অলিম্পিক্সে। লভলিনার মতে, কমনওয়েলথ গেমসে পদক পেলেও তাঁর কাজে লাগত না। তিনি বলেছেন, ‘‘কমনওয়েলথ গেমসকে তেমন গুরুত্ব দিইনি। আমার মূল লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক্স। এই বিভাগটাই প্যারিসে থাকবে না। তাই এখানকার সাফল্য আমার কোনও কাজে আসত না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কমনওয়েলথ গেমস অবশ্যই বড় মঞ্চ। কিন্তু আমি নিজেকে প্যারিস অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি করছি। প্রতিটি জয় বা পরাজয়ই অভিজ্ঞতা বাড়ায়। বার্মিংহামের হারটাকেও ইতিবাচক ভাবে নিচ্ছি। নিজের খেলা নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে।’’
প্যারিসেও পদক আসবে আপনার হাত ধরে? এক সাক্ষাৎকারে লভলিনা বলেছেন, ‘‘প্যারিস আমার জন্য কঠিন হতে পারে। বেশ কয়েকটা সমস্যা রয়েছে। সেগুলো মেটাতে হবে আগে। জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই থাকে। তবে আমি হারার আগে হারতে রাজি নই।’’ টোকিয়োয় ৬৯ কেজি বিভাগে পদক পেয়েছিলেন। প্যারিসে সেই বিভাগ নেই। তাঁকে ৬৬ অথবা ৭৫ কেজি বিভাগে নামতে হবে। লভলিনা বলেছেন, ‘‘এখনও ঠিক করিনি কোন বিভাগে নামব। ওজন বাড়িয়ে ৭৫ কেজিতেও নামতে পারি আবার ওজন কমিয়ে ৬৬ কেজির জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারি।’’
কমনওয়েলথ গেমস শুরুর আগেই ব্যক্তিগত কোচ সন্ধ্যা গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন লভলিনা। তাঁর অভিযোগের জন্য গুরুংকে প্রথমে দলের সঙ্গে বার্মিংহাম পাঠানো হয়নি। এর আগে স্বামীর সঙ্গেও তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। গত কয়েক মাসে একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন লভলিনা। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতির সময় মানসিক ভাবে একটু বিধ্বস্ত ছিলাম। যদিও প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই সব সমস্যা মিটে গিয়েছিল। মনে হয় না সমস্যাগুলো আমার উপর খুব একটা প্রভাব ফেলেছে। প্রচুর লেখালিখি হয়েছে জানি। নিজেকে সে সব থেকে দূরে রেখেছিলাম। আমাকে নিয়ে কে কী বলছিলেন, কী লেখা হচ্ছিল তা জানি না।’’