অরুণ লাল।
বিজয় হজারে ট্রফিতে ফিরল মাঁকড়ীয় আউটের ছবি। সোমবার রেলওয়েজের বিরুদ্ধে তার শিকার হলেন বাংলার অগ্নিভ পান। বোলারের নাম হর্ষ ত্যাগী। টাই ম্যাচে যে ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলা শিবিরও।
সোমবার জয়পুরে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচ টাই করে অভিযান শেষ করল বাংলা। এলিট ‘সি’ গ্রুপে ন’ম্যাচ শেষে বাংলার পয়েন্ট দাঁড়াল ২৪। তবে অগ্নিভকে মাঁকড়ীয় আউট করা নিয়ে বিরক্তি চেপে রাখতে পারছেন না বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল। জয়পুর থেকে ফোনে তিনি বললেন, ‘‘এই মানসিকতা ক্রিকেটীয় স্পিরিটকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই নিয়ম পরিবর্তন হওয়া দরকার।’’
টসে জিতে এ দিন আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলা অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। ম্যাচের ৩৫.২ ওভারে বল করছিলেন হর্ষ ত্যাগী। সে সময় উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অগ্নিভ। তাঁকে বিন্দুমাত্র সতর্ক না করে উইকেট ভেঙে দেন হর্ষ। অরুণ বলছিলেন, ‘‘উইকেট ছেড়ে দু’পা এগিয়ে এসেছিল অগ্নিভ। ও বুঝতেও পারেনি যে, এ ভাবে আউট হতে হবে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না।’’ সেখানেই না থেমে অরুণ বললেন, ‘‘ক্রিকেটে এর চেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা কিছু হতেই পারে না। এই ধরনের ঘটনায় আখেরে ক্রিকেটীয় ঐতিহ্যই কলঙ্কিত হচ্ছে।’’
২২৩ রানে বাংলার ইনিংস শেষ হয়। শ্রীবৎস গোস্বামী ৫৬ রান করেন। তার পরেও সায়ন ঘোষ (৩-৬১), অর্ণব নন্দী (২-৩০) বাংলাকে জয়ের জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। শেষ দু’ওভারে জয়ের জন্য রেলওয়েজের প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। হাতে ছিল দু’উইকেট। শেষ ওভারে বল করতে আসেন অশোক ডিন্ডা। দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান শিবেন্দ্র সিংহকে। কিন্তু তার পরেও বাংলা জিততে পারেনি। ৫০ ওভারের শেষ বলে হিমাংশু সাঙ্গওয়ান রান আউট হন। রেলওয়েজের স্কোর ২২৩।
বিজয় হজারে ট্রফিতে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে অরুণ লাল বলেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর ব্যাটিং বিপর্যয়ের খেসারত দিতে হল। মনোজ তিওয়ারির মতো ক্রিকেটার ত্রিপুরা ছাড়া কোনও ম্যাচে বড় একটা ইনিংস খেলতে পারল না! সুদীপও রান পেল না। খুবই হতাশাজনক পারফরম্যান্স।’’