ফিরে-দেখা: ২০১৩ ভারত সফরে সচিনের সান্ত্বনা গেলকে। ফাইল চিত্র
টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরীক্ষা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে এ কথাই বললেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট তারকা ক্রিস গেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁ-হাতি ওপেনার সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বত্রাস ব্যাটসম্যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি টেস্ট ক্রিকেটকেই এগিয়ে রাখছেন ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টির থেকে। গেলের মতে, টেস্ট ক্রিকেটে অনেক বেশি পরীক্ষা অপেক্ষা করে থাকে। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটই একজন ক্রিকেটারের দক্ষতা এবং মানসিক শক্তির আসল পরীক্ষা নেয়।
ক্রিকেট জীবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০৩টি টেস্ট খেলেছেন গেল। তবে ২০১৪ সালের পরে আর টেস্ট ম্যাচ খেলতে দেখা যায়নি ‘ইউনিভার্স বস’ গেলকে। তা সত্ত্বেও তিনি বলছেন, টেস্ট ক্রিকেটের উত্তেজনাকে হারাতে পারবে না অন্য কোনও ধরনের ক্রিকেট। তাঁর কথায়, ‘‘টেস্ট হল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরীক্ষা। পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেলার মাধ্যমেই আপনি শিখবেন জীবনে কী ভাবে শৃঙ্খলাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। কারণ, পাঁচ দিনের খেলায় অনেক পরীক্ষা দিতে হয় একজন ক্রিকেটারকে। বারবার এ রকম পরীক্ষা দেওয়ার ফলে জীবন শৃঙ্খলার আবরণে মোড়া থাকে। যা প্রতিফলিত হয় তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি পদক্ষেপে।’’ যোগ করেন, ‘‘এ ছাড়াও টেস্ট ক্রিকেট শিক্ষা দেয় কঠিন সময়ে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রত্যাঘাত করতে হয় বিপক্ষকে। তাই টেস্টই হল আসল পরীক্ষা।’’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেট তাঁকে জীবনদর্শন শিখিয়েছে। এ বার সেই সুরেই কথা বললেন গেলও। ৪০ বছর বয়সি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার সাম্প্রতিক কালে টেস্ট ক্রিকেটের বদলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটকেই ব্যক্তিগত ভাবে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। কিন্তু নবাগত ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা বাড়াতে বলেছেন গেল। পাশাপাশি তাঁদের সতর্ক করে বলেছেন, ক্রিকেটই যেন জীবনের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান না হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এর বাইরেও জগৎ রয়েছে।
আগামী দিনের ক্রিকেটারদের প্রতি গেলের পরামর্শ, ‘‘টেস্ট ক্রিকেট আপনার দক্ষতা ও মানসিক শক্তির পরীক্ষা নেয়। তাই টেস্ট খেলতে গেলে মনঃসংযোগ থাকা জরুরি। মাঠের মধ্যে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা চাই।’’ যোগ করেছেন, ‘‘যদি খেলায় সে ভাবে ছাপ ফেলতে না পারা যায়, তা হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সে ক্ষেত্রেও জীবনের অন্য কোনও দরজা খুলতে পারে।’’তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিয়ে গেলের উপদেশ, ‘‘যদি জীবনে কোনও একটি বিষয়ে সে ভাবে কিছু করে ওঠা না সম্ভব হয়, তা হলে দুঃখ বা হতাশার কিছু নেই। মনে রাখতে হবে, অন্য সুযোগ আসবেই। কোনও ক্রিকেটার যদি খেলাটায় সাফল্য না পায়, তা হলে যেন সে ভেঙে না পড়ে।’