—প্রতীকী চিত্র।
কোর্টের পাশে প্লেয়ারদের জন্য রাখা বেঞ্চিতে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন চিনের টেনিস তারকা ঝাং সুয়াই। এতটাই ভেঙে পড়েন যে, প্রথম গেম জেতার পরেও ম্যাচ ছেড়ে দেন। তাঁর প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরির কিয়ারা টথ খুশিতে লাফিয়ে ওঠেন। তাঁর উচ্ছ্বাস দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে টেনিস বিশ্ব। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল যে, গেম জিতেও এই ভাবে ভেঙে পড়তে হল দু’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী (ডবলস) ঝাং?
হাঙ্গেরিয়ান ওপেনে মুখোমুখি হয়েছিলেন ঝাং এবং টথ। সেই ম্যাচে প্রথম গেমে এক সময় ৫-৫ চলছিল। সেই সময় একটি পয়েন্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। চেয়ার আম্পায়ার একটি বল কোর্টের বাইরে পড়েছে বলে নিজের সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু ঝাং নিশ্চিত ছিলেন যে, বলটি লাইনের উপর পড়েছে। ঝাং হতাশ হয়ে চিৎকার করে বলেন, “ঈশ্বর, আমার এক জন রেফারি দরকার।”
আম্পায়ার এবং ঝাংয়ের মতপার্থক্য হলেও খেলা আবার শুরু হয়। পরের পয়েন্টটি ঝাং জিতে নেন। কিন্তু সেই সময় টথকে হাসতে দেখা যায়। ২০ বছরের তরুণের এমন ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এর মধ্যে টথ আরও একটি কাণ্ড করেন। বল লাইনের উপর পড়েছিল না পড়েনি বোঝার জন্য দেখতে হত বল কোন জায়গায় পড়েছে। কিন্তু টথ ইচ্ছাকৃত সেটা মুছে দেন। ঝাং আপত্তি করলেও শোনেননি। দু’বার ডবলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ঝাং প্রশ্ন করেন, “এটা তুমি কেন করলে?” উত্তর টথ বলেন, “তুমি খুব সমস্যা তৈরি করছিলে, তাই মুছে দিয়েছি।”
সমাজমাধ্যমে ঝাং একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে বলটি লাইনের উপর পড়েছিল। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে ঝাং লেখেন, “অনুশীলনের করা সব পরিশ্রম মাটি। কারণ আমরা অনুশীলন করি বলটা লাইনের কাছে ফেলার। কিন্তু এখানে লাইন ছুঁয়ে থাকলেও বাইরে মেরেছি বলা হয়। আমাকে যারা সমর্থন করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।”
ঝাং এই ঘটনার পর গেমটি ৬-৫ ব্যবধানে জিতলেও ভেঙে পড়েন। বেঞ্চিতে বসে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। কোর্টের মধ্যে ফিজ়িয়োকে ডাকেন। কিছু ক্ষণ পর ম্যাচটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঝাং ম্যাচটি ছাড়তেই টথকে দেখা যায় হাত তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে। যা ভাল ভাবে নেননি ভিক্টোরিয়া আজ়ারেঙ্কা। বেলারুসের টেনিস তারকা টুইট করে লেখেন, “এটা খেলোয়াড়সুলভ আচরণ নয়। অদ্ভুত!” বিপক্ষকে সম্মান না দেখানোর জন্য টথের আচরণের সমালোচনা করছে টেনিস বিশ্বের অনেকেই।