নেই জো রুট, স্টুয়ার্ট ব্রড বা জেমস অ্যান্ডারসন। নেই বিশেষজ্ঞ দু’জন ওপেনারও। ওপেনিংয়ে রয়েছেন এক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ১৩ জনের বিশ্ব টেস্ট দল গড়ে চমকে দিলেন চেতেশ্বর পূজারা। যাতে রয়েছেন চার জন ভারতীয়। এই চারের মধ্যে আছেন তিনিও।
পূজারার দলের হয়ে ওপেন করবেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত ওপেনার তিনি। ৮৪ টেস্টে ৪৮.৯৪ গড়ে করেছেন ৭২৪৪ রান। ২৪ সেঞ্চুরি, ৩০ হাফ-সেঞ্চুরি। সর্বাধিক নট আউট ৩৩৫। আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করে বোলারদের ত্রাস হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করবেন কেন উইলিয়ামসন। যিনি বিশেষজ্ঞ ওপেনার নন। নামেন মিডল অর্ডারে। কিন্তু পূজারার দলের মিডল অর্ডারে তাঁর জায়গা হচ্ছে না। তাই ওপেনিংয়ে আসছেন। ৮০ টেস্টে ৬৪৭৬ রান করেছেন তিনি। গড় ৫০.৯৯। ২১ সেঞ্চুরি, ৩২ হাফ-সেঞ্চুরি।
তিনে নিজেকেই রেখেছেন পূজারা। ৭৭ টেস্টে ৪৮.৬৬ গড়ে ৫৮৪০ রান করেছেন তিনি। ১৮ শতরানের পাশাপাশি রয়েছে ২৫ অর্ধশতরান। ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন তিনি। প্রতিকূল পরিবেশে দলের ভরসা হয়ে ওঠে তাঁর ব্যাট।
এর পর অতি অবশ্যই বিরাট কোহালি। এখন তিনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যাঁর তিন ফরম্যাটেই গড় পঞ্চাশের বেশি। ৮৬ টেস্টে ৫৩.৬২ গড়ে ৭২৪০ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ নট আউট ২৫৪। ২৯ সেঞ্চুরি ও ২২ হাফ-সেঞ্চুরির মালিক তিনি। ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ জয়ের কীর্তি রয়েছে তাঁর।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার দৌড়ে কোহালির প্রতিদ্বন্দ্বী স্টিভ স্মিথ নামবেন পাঁচে। ৭৩ টেস্টে ৬২.৮৪ গড়ে ৭২২৭ রান করেছেন অজি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ২৬ সেঞ্চুরি ও ২৯ হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে এর মধ্যে। সর্বাধিক ২৩৯। এখন আইসিসির তালিকায় বিশ্বের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান ইনিই।
ছয়ে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এখন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার তিনি। টেস্টে ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক তিনি। ৬৬ টেস্টে ৪৪১৯ রান করেছেন বাঁ-হাতি। ডানহাতি মিডিয়াম পেসে নিয়েছেন ১৫৬ উইকেট। ব্যাটে বা বলে ম্যাচের গতিপথ পাল্টাতে পারেন একাই।
এ বার উইকেটকিপার। পূজারার পছন্দ নিউজিল্যান্ডের বিজে ওয়াটলিং। ৭০ টেস্টে ৩৬৫৮ রান করেছেন তিনি। তাঁর শিকার সংখ্যা ২৪৯। ৩৫ বছর বয়সির আটটি শতরান রয়েছে। পঞ্চাশ পেরিয়েছেন ১৮ বার।
এ বার বোলিং। পূজারার দলে একমাত্র স্পিনার হিসেবে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৭১ টেস্টে ৩৬৫ উইকেট তাঁর দখলে। গড় ২৫.৪৩। স্ট্রাইক রেট ৫৩.৬। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২৭ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন সাত বার। পাশাপাশি, ব্যাট হাতে চার শতরান সহ করেছেন ২৩৮৯ রান।
এ বার পেস বিভাগ। প্রথমেই জশপ্রীত বুমরা। ১৪ টেস্টে ৬৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গড় ২০.৩৩। স্ট্রাইক রেট ৪৫.৩। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন পাঁচ বার।
অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সও রয়েছেন পেস বোলিংয়ের দায়িত্বে। ২৭ বছর বয়সি অজি ৩০ টেস্টে ১৪৩ উইকেট নিয়েছেন। গড় ২১.৮২। স্ট্রাইক রেট ৪৭.২। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েচেন পাঁচ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন এক বার।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা দলের আরও এক জন পেসার। ৪৩ টেস্টে ২৫ বছর বয়সি নিয়েছেন ১৯৭ উইকেট। গড় ২২.৯৫। স্ট্রাইক রেট ৪০.৬। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন নয় বার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন চার বার।
দলের দ্বাদশ ব্যক্তি হলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ব্যাটে-বলে তিনি যে কোনও দলের সম্পদ। ৪৯ টেস্টে বাঁ-হাতি স্পিনে ২১৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৮৬৯ রান করেছেন তিনি। বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার দুর্দান্ত ফিল্ডারও।
দলের ত্রয়োদশ ব্যক্তি হলেন মহম্মদ শামি। ৪৯ টেস্টে ১৮০ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। গড় ২৭.৩৬। স্ট্রাইক রেট ৪৯.৪। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন পাঁচ বার। টেস্টে ১০ উইকেট এখনও নিতে পারেননি তিনি।