দুরন্ত: চেলসির বিরুদ্ধে বাইসাইকেল কিকে আলিরেজ়ার সেই গোল। রয়টার্স
এক ঝাঁক নতুন ফুটবলার নিয়ে ভাল খেলতে খেলতে হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ফেলছে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি। বুধবার ‘দ্য ব্লুজ’ বাইরের মাঠে আটকে গেল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের কাছে। ১০ মিনিটে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নামা সিজার আতপিলিকুয়েতার সৌজন্যে চেলসিই প্রথম গোল করে। কিন্তু চমকে দেন ব্রাইটনের ইরানীয় তারকা আলিরেজ়া জাহানবাখ্স। ৮৪ মিনিটে দুরন্ত বাইসাইকেল কিকে ১-১ করেন।
ফুটবল পণ্ডিতেরা এক কথায় বলে দিলেন, আলির গোলটা নতুন বছরের সেরা উপহার। ২৬ বছরের আলিরেজ়া ইরানের হয়ে দু’টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। স্বপ্নের গোল করে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি যেখানে ছিলাম সেখান থেকে বাইসাইকেল কিক ছাড়া অন্য কোনও কিছু করার উপায় ছিল না। ঠিক করেছিলাম, গায়ের সব শক্তি দিয়ে শটটা মারব।’’ যোগ করেন, ‘‘বিশ্বাস করুন গোলের পরে নিজেও অবাক হয়ে যাই। শুধু মনে হচ্ছে কখন ড্রেসিংরুমে ফিরে বার বার গোলের রিপ্লে দেখব।’’ ল্যাম্পার্ডও স্বীকার করেছেন, এমন অবিশ্বাস্য গোলে তিন পয়েন্টের আশা শেষ হয়ে যাবে কল্পনা করেননি। একই সঙ্গে ফুটবলারদের মধ্যে জয়ের খিদে দেখতে না পেয়ে তিনি মারাত্মক হতাশ।
হতাশ জোসে মোরিনহোও। বুধবার সাউদাম্পটনের কাছে বাইরের মাঠে পর্তুগিজ ম্যানেজারের নতুন ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার ০-১ হেরে গেল। ১৭ মিনিটে সাউদাম্পটনের ড্যানি ইঙ্গস গোল করেন এবং ম্যাচে আরও প্রায় ৭৫ মিনিট সময় থাকলেও সমতা ফেরাতে পারেননি হ্যারি কেনরা। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়কের একটা গোল অবশ্য অফসাইডে বাতিল হয়। তার ঠিক পরেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান কেন।
মঙ্গলবারই টটেনহ্যাম হটস্পারের ফরোয়ার্ডদের জন্য তাঁর খারাপ লাগে বলে মন্তব্য করেন জোসে মোরিনহো। স্পার্সের নতুন ম্যানেজারের বক্তব্য, ডিফেন্ডারদের দোষে বার বার তাঁর ফরোয়ার্ডদের পরিশ্রম মাটি হচ্ছে।
পর্তুগিজ ম্যানেজারের বক্তব্য, ‘‘উচ্চতাটা একটা সমস্যা। যদি বিপক্ষ ফরোয়ার্ড আপনার থেকে অন্তত ১৫ সেমি বেশি লম্বা হয়, তা হলে পেরে ওঠা অসম্ভব। মনে হয়ে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটাই হচ্ছে।’’ বুধবার সেন্ট মেরিজ স্টেডিয়ামে ইঙ্গসের গোলটাও বেশ ভাল। অসাধারণ দক্ষতায় তিনি টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার টবি অ্যাল্ডারওয়াইরেল্ডকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের দুরন্ত শটে ১-০ করেন। সব চেয়ে বড় কথা, আবার সেই ডিফেন্সের ভুলে গোল। মোরিনহো তো বলেইছেন, ‘‘আমি নিজে স্পার্সের ফরোয়ার্ড হলে ভেঙে পড়তাম। বার বার ভাল গোল করার পরেও রক্ষণের ভুলে পয়েন্ট নষ্ট
হচ্ছে বলে।’’
বুধবার অবশ্য টটেনহ্যামের ফরোয়ার্ডরাও ব্যর্থ। সেটা দেখেই হয়তো মেজাজ হারিয়ে সাউদাম্পটনের এক সহকারী কোচের সঙ্গে ঝামেলা জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখে বসলেন মোরিনহো।