ধোনির মতো শক্তিশালী ব্য়াটসম্যান দেখেননি গুরু গ্রেগ। —ফাইল চিত্র।
কোচ থাকার সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্কিত অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল। এই চ্যাপেলের কোচিংয়েই আবার রান তাড়া করার ভয় কাটিয়ে উঠেছিল টিম ইন্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে টানা ১৭টি ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সেই চ্যাপেল দাবি করছেন, তাঁর জন্যই ধোনি মারাত্মক আগ্রাসী ব্যাটসম্যান থেকে চিন্তাশীল ফিনিশার হয়েছেন।
চ্যাপেল বলছেন, ‘‘ধোনিকে প্রথম বার ব্যাট করতে দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে ভারতের সব চেয়ে আকর্ষণীয় ক্রিকেটার ছিল ধোনিই। এমন সব জায়গা থেকে শট নিত, যা কেউ কোনও দিন কল্পনাও করতে পারবে না। এ রকম শক্তিশালী ব্যাটসম্যান আমি আগে কখনও দেখিনি।”
উদাহরণ হিসেবে চ্যাপেল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ধোনির খেলা ১৮৩ রানের ইনিংসের কথা বলেছেন। সেই ইনিংসটায় ধোনি দ্বীপরাষ্ট্রের কোনও বোলারকে দাঁড়াতেই দেননি। চ্যাপেল বলছেন, ‘‘তার পরের ম্যাচটাই ছিল পুণেতে। আমি ধোনিকে বলেছিলাম, তুমি প্রতিটা বলই বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করো কেন? কেন জমিতে শট নেওয়ার কথা চিন্তা করো না? আমরা ২৬০-এর মতো রান তাড়া করছিলাম। যে ধোনি আগের ম্যাচে পাওয়ার হিটিং করেছিল, পরের ম্যাচে সম্পূর্ণ বিপরীত খেলা খেলল।’’
আরও পড়ুন: কোহালি ক্রিকেটের ফেডেরার, মত এবির
জেতার জন্য যখন ঠিক ২০ রান দরকার, তখন ধোনি পরিবর্ত ক্রিকেটার আরপি সিংহের মাধ্যমে চ্যাপেলকে জিজ্ঞাসা করেন, এ বার ছক্কা হাঁকাবেন কি না? চ্যাপেল তখনই ছক্কা মারতে নিষেধ করেন। ঠিক যখন ছ’রান দরকার, ধোনি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতান। চ্যাপেল বলছেন, “ম্যাচ শেষ করে আসার জন্য আমি সবসময়ে ধোনিকে চ্যালেঞ্জ করতাম। আর উইনিং রান ওর ব্যাট থেকে বেরলেই ধোনির মুখে হাসি খেলা করত।’’
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে নুয়ান কুলশেখরাকে ছক্কা মেরে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পরে চ্যাপেল যে হাসির কথা বলছেন, ঠিক সেটাই খেলা করছিল ধোনির মুখে।