তারকা: জোড়া গোলের পরে কোসি। পিঠে ছাংতে। নিজস্ব চিত্র
আর্থার কোসি যে দিন ‘জাগবেন’, সে দিন মহমেডান জিতবে!
আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার শনিবার বৃষ্টি এবং কাদার মাঠে জোড়া গোল করলেন এবং দুর্দান্ত খেললেন। জয়েও ফিরল সাদা কালো শিবির।
কলকাতা লিগে যে বারোটি দল খেলছে, তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত দীপেন্দু বিশ্বাসের দল। পয়েন্টের বিচারে এ দিন তারা ছুঁয়ে ফেলল শীর্ষে থাকা পিয়ারলেসকে। একটি ম্যাচ বেশি খেলে ছুঁয়ে ফেলল আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলকেও। টপকে গেল মোহনবাগানকেও। এবং সেটা দেখার পরে দলের টিডি দীপেন্দু বিশ্বাস বলে দিলেন, ‘‘খেতাবের লড়াইতে ঢুকে পড়লাম মনে হচ্ছে। হয়তো চ্যাম্পিয়ন হতে পারব না। কিন্তু আমাদের টিম লড়াই করবে। আমাদের আগামী দুটো ডার্বি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
কালীঘাট এমএস শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নয়। চোট ও কার্ডের জন্য দুই বিদেশি না খেলায় মাত্র একজন কোয়াসি আলেজান্দ্রেকে নিয়ে নেমেছিল তারা। উল্টোদিকে মহনেডান নেমেছিল তিন বিদেশি নিয়েই। ফলে মাঠে নামার আগেই দু’দলের মধ্যে শক্তির পার্থক্য তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেটা শুরুতেই গোল করে বুঝিয়ে দেন আর্থার কোসি। মুদে মুসার পাস ধরে প্লেসিং শটে ম্যাচ শুরুর দু’মিনিটের মধ্যেই গোল করে তিনি এগিয়ে দেন মহমেডানকে। দ্বিতীয় গোল পান ভ্যানলাল বিয়া ছাংতের পাস থেকে। প্রচণ্ড গতির এই মিজো ফুটবলার বল টেনে নিয়ে গিয়ে বাড়িয়ে দেন কোসিকে। ম্যাচের পরে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে হ্যাটট্রিক না পাওয়ার জন্য আক্ষেপ করছিলেন মহমেডান স্ট্রাইকার। বললেন, ‘‘অন্তত আরও দুটো গোল করা উচিত ছিল আমার। সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে হ্যাটট্রিকটা হয়ে যেত।’’ ডুরান্ড কাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। কলকাতা লিগে এখনও সেই কৃতিত্ব ছুঁতে পারেননি, সেই আক্ষেপ করতে করতেই বাড়ি ফিরে গেলেন সাদা-কালোর দশ নম্বর।
বৃষ্টি এবং কাদায় মাখামাখি মাঠে ভাল ফুটবল খেলা অসম্ভব। কিন্তু তা সত্ত্বেও নানা রঙের আবির, ব্যান্ড নিয়ে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের কথা ভেবে ময়দানে নিজেদের মাঠেই খেলছে মহমেডান। এবং সড়গড় হয়ে উঠেছে। এ দিন অবশ্য নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অতিরিক্ত সময়ে নাটকীয়ভাবে ছয় মিনিটে দুটো গোল হল। কালীঘাটের আলেকজান্ডার পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমানোর দু’মিনিটের মধ্যেই ছাংতে মহমেডানের হয়ে ৩-১ করে দেন। পের চেকের মতো সুরক্ষা-টুপি পরে মাঠে নাম কালীঘাট গোলকিপার শৌভিক সাঁতরা তখন ধরাশায়ী।