কার্লোস। ছবি সংগৃহীত
লকডাউনের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিয়ো রিভেরা-সহ চার স্পেনীয় ফুটবলার কলকাতা ছেড়েছেন। কিন্তু থেকে গিয়েছিলেন দুই ফুটবলার কাশিম আইদারা, জনি আকোস্তা ও ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। ১৩ জুন, শনিবার কাশিমের রওনা হওয়ার কথা। কার্লোসের ফেরার কথা ছিল ১৮ জুন। জানা গিয়েছে, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট হয়ে তাঁর মাদ্রিদ পৌঁছনোর কথা ২০ জুন।
টিকিটের ব্যবস্থা হলেও কলকাতা ছাড়তে রাজি নন কার্লোস! বললেন, ‘‘প্রথমত, ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে আমার ১৪ জুন ফেরার টিকিটের কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। বুধবার আমাকে ১৮ জুনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি।’’ কেন? ক্ষুব্ধ স্পেনীয় ফিজিক্যাল ট্রেনারের ব্যাখ্যা, ‘‘কলকাতা থেকে ১৮ জুনের বিমান উঠলেও মাদ্রিদ পৌঁছব ২০ তারিখ। আমাকে শুধু টিকিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে হোটেলে কী ভাবে যাব? তার পরে আবার বিমানবন্দরে যেতে হবে। এ ছাড়া খাদ্যভাতা দেওয়ার কথাও বলা হয়নি। সম্পূর্ণ ট্র্যাভল প্ল্যান না পাওয়া পর্যন্ত আমি কলকাতা ছাড়ব না।’’
কিন্তু কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার আকোস্তো কবে ফিরবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। সূত্রের খবর বুধবার বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে ফুটবলারদের ই-মেল করে জানানো হয়, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তিপত্রে ৩১ মে-র মধ্যে যাঁরা সই করেননি, তাঁদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে না।