কার্লোস আলকারাজ। —ফাইল চিত্র।
শীর্ষ বাছাই হিসাবে উইম্বলডন খেলতে এসেছেন কার্লোস আলকারাজ। প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে, তত বেড়েছে তাঁর খেলার ধার। ২০ বছরের তরুণ একের পর এক বাধা টপকে পৌঁছে গিয়েছেন ফাইনালে। ট্রফি জেতার জন্য রবিবার তাঁকে লড়াই করতে হবে নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে। তার আগে আত্মবিশ্বাসী স্পেনের নবীন তারকা।
উইম্বলডন শুরুর আগে থেকেই আলকারাজ খেতাব জেতার দৌড়ে এগিয়ে রেখেছেন অভিজ্ঞ জোকোভিচকে। একাধিক বার বলেছেন, তাঁকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে জোকারের বাধা টপকাতেই হবে। সেই মঞ্চই তৈরি রবিবারের ফাইনালে। জোকোভিচের বিরুদ্ধে উইম্বলডন ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত আলকারাজ। শুক্রবার দানিল মেদভেদেভের বিরুদ্ধে জয়ের পর আলকারাজ বলেছেন, ‘‘উইম্বলডন ফাইনাল খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। এ বার সেই ফাইনাল খেলব। বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমি শুধু ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই।’’
জোকোভিচের বিরুদ্ধে ফাইনালের লড়াই সহজ হবে না জানেন স্পেনের তরুণ। শীর্ষ বাছাই বলেছেন, ‘‘জানি খুব কঠিন একটা ম্যাচ খেলতে হবে। এটুকু বলতে পারি আমি লড়াই করব। নিজের উপর আস্থা রয়েছে আমার। বিশ্বাস করি ফাইনালে জোকোভিচকে হারাতে পারব। ২০১৩ সালের পর সেন্টার কোর্টে ও হারেনি। ফলে আমাকে সত্যিই একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে। যখন থেকে টেনিস খেলতে শুরু করেছি, তখন থেকে স্বপ্ন দেখেছি উইম্বলডন ফাইনাল খেলার। সেটাই আবার জোকোভিচের বিরুদ্ধে। তাই গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। ফাইনালে ভয় পেলে তো চলবে না। আমি চেষ্টা করব। অবশ্যই ট্রফির জন্য ঝাঁপাব।’’ খেতাব জেতার জন্য ফাইনালেও সাহসী টেনিস খেলতে চান ২০ বছরের তরুণ।
সেমিফাইনালে তাঁকে খেলতে হয়েছে প্রাক্তন এক নম্বর রাশিয়ার মেদভেদেভের বিরুদ্ধে। সেমিফাইনালের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলকারাজ বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা ভীষণ কঠিন ছিল। প্রতিটি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে হয়েছে কোর্টে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে মেদভেদেভ। ও দারুণ লড়াকু খেলোয়াড়। ওকে হারাতে আমার সেরা টেনিস খেলতে হয়েছে। আগ্রাসী মেজাজে খেলতে হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি কঠিন ম্যাচ জিততে হলে, নিজের সেরাটাই দিতে হয়।’’
২০০৬ সালে রাফায়েল নাদালের পর সব থেকে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসাবে উইম্বলডন ফাইনালে উঠেছেন আলকারাজ। শীর্ষ বাছাই হলেও জোকোভিচকে অভিজ্ঞতার জন্য এগিয়ে রাখছেন তিনি। নাদালের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে উইম্বলডন ফাইনালে স্পেন বা তাঁর ভক্তদের ভরসা এ বার আলকারাজ। উল্লেখ্য, চোটের জন্য এ বারের প্রতিযোগিতায় খেলছেন না নাদাল।