ক্রিকেট নিয়ে ময়দানের দুর্নীতি মেটাতে বদ্ধ পরিকর অভিষেক ডালমিয়া ও স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে আর ক্রিকেট খেলা যাবে না। তাই ময়দানের প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনে চলা ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙতে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শ্যামল সেনকে ওম্বাডসম্যান (লোকপাল) নিয়োগ করছে অভিষেক ডালমিয়ার সিএবি। তবে এখনই অভিযুক্ত ৬৫ জন ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করা হচ্ছে না। কিন্তু আধার কার্ডের তথ্য সঠিক না হলে সেই ক্রিকেটার ও ক্লাবকে ভবিষ্যতে নির্বাসিত করা হবে। সেটাও জানিয়ে দিলেন সংস্থার প্রধান অভিষেক ডালমিয়া।
কয়েক জন কর্তার মদতে বছরের পর বছর ধরে চলছিল এই কালো কারবার। এদের মধ্যে ৪৫ জন ক্রিকেটারের আধার কার্ড নকল। তাঁরা ভিনরাজ্যের হয়েও কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলে যাচ্ছিলেন। বাকি ২০ জনের আধার কার্ডের তথ্যে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। এই দুর্নীতি রুখতে প্রাক্তন বিচারপতি শ্যামল সেন ওম্বাডসম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্র সরকারের ওয়েব সাইট ঘেঁটে দেখার পর এই বিষয়টা কর্তাদের নজরে আসে। তাই অবশেষে নড়েচড়ে বসলেন বঙ্গ ক্রিকেট কর্তারা।
অভিষেক বলেন, “ক্লাব ক্রিকেটকে স্বচ্ছ রাখতে সব রকম পদক্ষেপ আমরা নেব। কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সেই জন্য সংস্থার তরফ থেকে ওম্বাডসম্যান নিয়োগ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ৬৫ জনের আধার কার্ডের সব তথ্য তিনি খুঁটিয়ে দেখে আমাদের জানাবেন। সেই মতো আমরা মরসুম শুরু হওয়ার আগে এই ৬৫ জনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। এ বারও যদি অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের আধার কার্ডে গরমিল পাওয়া যায় তাহলে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”
সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্নীতির জন্য ক্লাব ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নকল তথ্য দিয়ে ময়দানে ক্রিকেট খেলা একটি ব্যাধির আকারে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একজোট হয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনও রকম জালিয়াতি বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।”
শুক্রবার ছিল সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানে ক্রিকেটের কালো কারবারকে বন্ধ করা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।