অরুণ লাল।
বিদর্ভের বিরুদ্ধে দু’দিনের মধ্যেই লজ্জাজনক হারের পরে ক্ষুব্ধ সিএবি কর্তারা। সোমবার বিমানবন্দর থেকেই কোচ অরুণ লাল ও ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয় সিএবি-তে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয় দলের এই হাল কেন?
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ নাগপুর থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন অরুণ লাল। ৯টার মধ্যে চলে আসেন সিএবি-তে। বর্তমান সচিব অভিষেক ডালমিয়া ও যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসের সঙ্গে চল্লিশ মিনিটেরও বেশি বৈঠক হয় কোচ ও জয়দীপের। বৈঠক শেষে জানা গেল, সিএবি কর্তারা তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়ার পক্ষে সায় দিয়েছেন। এমনকি জোর দিতে বলা হয়েছে স্থানীয় ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের উপরেও। কিন্তু হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি। তার মধ্যে কী করে দলের খোলনলচে বদলে ফেলবে টিম ম্যানেজমেন্ট! একেই ব্যাটিং নিয়ে সমস্যায় বাংলা। তার উপরে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হলে তাঁরা যে পারফর্ম করবেনই তার নিশ্চয়তা নেই।
প্রথম ম্যাচে কেরলকে হারানোর পরে ঘরের মাঠে অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে তিনটি করে পয়েন্ট পেয়েছে বাংলা। বৃষ্টি অথবা কম আলোর জন্য ম্যাচ বিঘ্নিত না হলে ছয় পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল অভিমন্যু ঈশ্বরনদের। কিন্তু বিদর্ভ ম্যাচে ছন্দে থাকা ঈশান পোড়েল চলে যাওয়ায় বোলিং বিভাগ সমস্যায় পড়েছে। এমনকি ব্যাটিংয়েও উইকেট কামড়ে পড়ে থাকার কাজটি কেউ করতে পারেননি। তবুও একটি ম্যাচ হারের পরেই কেন কোচকে তড়িঘড়ি সিএবি-তে ডেকে পাঠানো হল, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, সিএবি কর্তারা কি দল নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন?
বাংলা যে দলের বিরুদ্ধে হেরেছে, তারা শেষ দু’বারের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন। নাগপুরে ঘূর্ণি পিচে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন অভিমন্যুরা। তাতেই দলের উপর থেকে আস্থা হারালেন কর্তারা? আজ, মঙ্গলবার সকালেই দল নির্বাচন। কর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী দলে তরুণ ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়ানো হয় কি না, সেটাই দেখার।