মহড়া: বায়ার্নের প্রস্তুতিতে থোমাস মুলার। ম্যাচ শুরু এ মাসেই। বায়ার্নের ফেসবুক
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক এগারোটা। বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের মূল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দু’টি বাস। মুখাবরণ, হাতে গ্লাভস পরে একে একে ক্লাবের লাউঞ্জ থেকে সেই বাসে উঠে পড়লেন থোমাস মুলার, মানুয়েল নয়্যার, রবার্ট লেয়নডস্কিরা। গন্তব্য মিউনিখের একটি হোটেল, যেখানে শুধুমাত্র বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলারেরাই থাকবেন। গোটা দলকে সেই বিশেষ হোটেলে সাত দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
জার্মানির একটি সংবাদপত্র লিখেছে, ফুটবলারেরা বাসে ওঠার আগেই বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী রাস্তায় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের নির্দেশ দেন, কমপক্ষে একশো গজ দূরে সরে গিয়ে ফুটবলারদের ছবি তোলা যেতে পারে। কোনও অবস্থাতেই কথা বলা যাবে না তাঁদের সঙ্গে। জার্মান সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধু ফাঁকা মাঠে খেলা করলেই হবে না, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে সব কিছু করতে হবে। বাসে ওঠার আগে ফুটবলার এবং কোচেদের সবাইকে গ্লাভস খুলে হাতে স্যানিটাইজার লাগাতে হয়েছে।
১৬ মে শুরু হওয়ার কথা বুন্দেশলিগা। বায়ার্নের ম্যাচ রয়েছে অবনমনের আওতায় ঢুকে পড়া এফসি ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে। বায়ার্নের মতো বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, আরবি লাইপজিগ, বরুসিয়া মনচেনগ্ল্যাডবাখের মতো দলগুলির ফুটবলারেরা ক্লাবের ঠিক করা বিশেষ হোটেলে নিভৃতবাসে থাকবেন এখন। সেখানে কঠোর অনুশাসনে থাকতে হবে তাঁদের। ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বায়ার্নের এগজিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান কার্ল হেইনজ রুমেনিগে বলেছেন, “কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। সরকারের তরফে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করাই আমাদের কর্তব্য। সব ফুটবলারকে সেই ছাপানো সরকারি নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে।”
কী রয়েছে সেই নির্দেশাবলিতে? বলা হয়েছে, হোটেলে নিজের ঘর থেকে বাইরে বেরোলেই মুখাবরণ পরতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজন এবং রাতে খাবার টেবিলে একসঙ্গে দু’জনের বেশি বসতে পারবেন না। নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখতে হবে টেবিলগুলিকেও। তৃতীয়ত, একটি ঘরে একজন ফুটবলারই থাকতে পারবেন এবং তাঁকে নিজের বিছানা নিজেকেই পরিষ্কার করতে হবে। কোনও রুম সার্ভিস থাকবে না। চতুর্থত, ফুটবলারদের পরিবারের কোনও সদস্যকে হোটেল চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ফোন করতে হলে ঘরে বসেই করতে হবে। ঘরের বাইরে পা রাখা যাবে না। বুন্দেশলিগার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ক্রিশ্চিয়ান সাইফার্ট বলেছেন, “আমরা মনে করি, প্রত্যেক ফুটবলার এই নিয়মগুলি পালন করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হবেন।’’
আরও পড়ুন: র্যামোস চান ফিরতে, পিকে খুব ইচ্ছুক নন