গোল দেওয়ার পর উচ্ছ্বাস উইলিয়ানের । ছবি: এফপি
কোপা আমেরিকায় সাম্বা ঝড়। পেরুকে পাঁচ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল আয়োজক দেশ ব্রাজিল। অথচ ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে তিতের ছেলেরা তিন-তিনটি গোল করলেও সেগুলো বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার সাও পাওলোয় ব্রাজিলের আগ্রাসী ফুটবলের সাক্ষী রইল ফুটবলবিশ্ব।
শুরু থেকেই মাঠ জুড়ে দেখা যায় হলুদ জার্সির আধিপত্য।১২ মিনিটে ক্যাসিমেরোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এরপরে গোটা ম্যাচ জুড়ে চলে হলুদ জার্সিধারীদের দাপট। ১৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে ব্রাজিল। পেরুর গোলকিপার গালেসের শট প্রথমে ফিরমিনোর গায়ে লাগে। পরে তা পোস্টে আছাড় খেয়ে আবার ফিরমিনোর কাছে এলে পেরুর গোলকিপারকে মাটি ধরিয়ে ফিরমিনো জালে বল জড়িয়ে দেন।
তাঁর এই গোল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা হচ্ছে। ব্রাজিলের তৃতীয় গোলটি ম্যাচের ৩২ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে সর্পিল গতিতে উঠে সোয়ারেজ ডান পায়ের গড়ানে শট নেন। পেরুর গোলকিপারের নাগাল এড়িয়ে তা গোল হয়। শরীর ছুড়েও সোয়ারেজের শট থামাতে পারেননি গালেস। প্রথমার্ধের মতোই দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাজিলের প্রাধান্য ছিল।
অপ্রতিরোধ্য স্যাঞ্চেস, দুরন্ত চিলি শেষ আটে
কোপায় উরুগুয়ের হার বাঁচাল ভিএআর
খেলার ৫৩ মিনিটে দানি আলভেজ ব্রাজিলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন। বার্সেলোনার প্রাক্তন রাইট ব্যাকের ওভারল্যাপে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। গোলটিও সেভাবেই। তাঁকে তাড়া করছিলেন পেরুর এক ডিফেন্ডার। গালেস গোলের মুখ ছোট করে বেরিয়ে এসেছিলেন। জোরালো শটে দানি আলভেজ পরাস্ত করেন পেরুর গোলকিপারকে। পেরুর রক্ষণ নিয়ে ছেলেখেলা করেন ব্রাজিলের তারকারা। ম্যাচের শেষ লগ্নে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে উইলিয়ানের গোলার মত শটে ৫-০ করে ব্রাজিল। ইনজুরি টাইমে হাফ ডজন গোল দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে পেলের দেশ। গ্যাব্রিয়েল জেসুস পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি।
ম্যাচে প্রচুর ফাউল হয়। দু’ দলের মোট চার জনকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। একাধিক বার তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ব্রাজিল ও পেরুর ফুটবলাররা।