প্রতিপক্ষ জেক পলকে চড় মারছেন মাইক টাইসন। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
১৯ বছর পর রিংয়ে ফিরছেন ৫৮ বছরের মাইক টাইসন। তার আগেই প্রতিপক্ষকে চড় মেরে বসলেন বক্সার। বুঝিয়ে দিলেন, টাইসন আছেন টাইসনেই। রসিকজনেরা বলছেন, ভাগ্য ভাল জেক পলের, শুধু চড়ের উপর দিয়ে গেল। টাইসন অতীতে কানও কামড়েছেন। তার থেকে কমেই গেল পলের উপর দিয়ে।
শনিবার ভোরে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) টাইসন লড়বেন পলের বিরুদ্ধে। যে লড়াইয়ের আয়োজন করেছে নেটফ্লিক্স। তার আগে শুক্রবার দুই প্রতিপক্ষের জন্য একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে এক মহিলা সাংবাদিক টাইসনকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি হেরে গেলে কী হবে? তাতে ওই সাংবাদিকের দিকে কটমট করে তাকান ৫৮ বছরের বক্সার। তার পরেই হঠাৎ পলকে চড় মারেন টাইসন। তার পরেই বলেন, “কথা শেষ।”
বক্সিং ম্যাচ হবে শনিবার। তার আগেই দু’জনের লড়াই শুরু হয়ে গেল। পলের বয়স ২৭ বছর। টাইসনের চড় খেয়ে তিনি আরও তাতিয়ে দিতে থাকেন প্রতিপক্ষকে। মঞ্চে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গে টাইসনকে ঘিরে ফেলেন। তাতে আর কোনও বিপত্তি হয়নি।
টাইসনের চড় মারার ঘটনা যদিও অবাক করার মতো কিছু নয়। ১৯৯৭ সালে একটি ম্যাচ চলাকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী ইভান্ডার হোলিফিল্ডের কান কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছিলেন টাইসন। ফলে তাঁকে সেই ম্যাচ থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়। রিংয়ে আক্রমণাত্মক খেলার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন টাইসন।
১৯৯২ সালে ধর্ষণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ছ’বছরের জেল হয়েছিল টাইসনের। জেল থেকে ফিরে আবার বক্সিং শুরু করেন টাইসন। ২০০৫ সালে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। তবে বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে পারেননি। ২০২২ সালে বিমানের মধ্যে এক সহযাত্রীকে মেরেছিলেন। সেই বিমানে থাকা অন্য যাত্রীরা জানিয়েছিলেন, ওই সহযাত্রী মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তিনি বার বার টাইসনকে কটাক্ষ করছিলেন। পিছন থেকে বার বার টাইসনকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। জলও ছুড়েছিলেন। তাতেই রেগে গিয়ে টাইসন ওই সহযাত্রীকে মারেন। এ বার তালিকায় যুক্ত হল প্রতিপক্ষকে চড় মারাও।