বরিস বেকার ফাইল চিত্র।
আদালতে হাজিরা দিলেন কিংবদন্তি বরিস বেকার! পাঁচ বছর আগে তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছিল। ঋণের পরিমাণ ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি। তখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নিজের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের ট্রফি বিক্রি করে হলেও ধার শোধ করবেন।
কিন্তু এখনও বেকার সে কথা রাখতে পারেননি! যে কারণে কথার খেলাপ করার জন্য এবং অন্য আরও নানা অভিযোগের আবহে তাঁর বিচারও শুরু হয়ে গেল। পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি যা, তাতে তাঁর হাজতবাসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আদালতে সোমবার ব্রিটিশ সরকারের আইনি প্রতিনিধি (প্রসিকিউটর) রেবেকা চকলে জানিয়ে দেন, বেকার যেটা করেছেন তা অসৎ মনোবৃত্তি ছাড়া অন্য কিছুই নয়। প্রসঙ্গত এমনিতেই প্রাক্তন টেনিস তারকা এখন জামিনে আছেন। যদিও এখনও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন। সরকারি আইনজীবী সোমবারও আদালতে তাঁর শাস্তির পক্ষে জোরদার সওয়াল করে যান। জার্মান অনুবাদককে পাশে নিয়ে বেকার আদালতে শান্ত ভাবেই বসেছিলেন। আইনি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মামলার রায় বেরোতে বহু সপ্তাহ লেগে যাবে।
বেকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, দেউলিয়া হওয়ার পরেও তিনি নিজের আর্থিক অবস্থার সঠিক তথ্য দেননি। সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এক প্রস্ত তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ৫৪ বছর বয়সি প্রাক্তন তারকা জানাননি যে লন্ডনের চেলসি অঞ্চলে তাঁর ফ্ল্যাট আছে। এতদিনে ১৯৮৫ সাল থেকে উইম্বলডন-সহ জেতা সমস্ত ট্রফি হস্তান্তর করলে হয়তো রক্ষা পেতেন বেকার। যেটা তিনি করেননি।
তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, প্রাক্তন স্ত্রী বার্বারার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্টে বেআইনি লেনদেনের। সেইসঙ্গে জানাননি আল পার্ম ব্রেকিং ডেটা কর্পোরেশনের প্রচুর শেয়ার কেনার তথ্য।