বরিস বেকার ফাইল চিত্র।
বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর বরিস বেকার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন টেনিস খেলোয়াড়েরা যেন এর পরে না আবেগহীন ‘‘কম্পিউটার ও যন্ত্র’’ না হয়ে দাঁড়ায়। টেনিস কোর্টে সম্প্রতি খেলোয়াড়দের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ নিয়ে পুরুষদের পেশাদার টেনিস সংস্থা এটিপি সতর্কতা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, কোর্টে বিশৃঙ্খলা দেখলেই কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। সেই প্রসঙ্গেই বেকারের এই সতর্কবার্তা।
ফ্রেবরুয়ারিতে আকাপুলকোয় প্রতিযোগিতা থেকে জার্মানির তারকা আলেকজান্ডার জ়েরেভকে বহিষ্কার করা হয় এই কারণে। পয়েন্ট হারিয়ে মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে আম্পায়ারের চেয়ারে র্যাকেট দিয়ে আঘাত করেন তিনি। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরিয়সকেও জরিমানা করা হয় ইন্ডিয়ান ওয়েলস এবং মায়ামিতে কোর্টে মেজাজ হারানোর জন্য।
বেকার মনে করেন খেলোয়াড়দের কোর্টে আবেগের বহিঃপ্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে। ‘‘আমি খুব খুশি আমাদের সময় কোর্টে আবেগ দেখানোয় কোনও বাধা ছিল না বলে। তখন গণমাধ্যম বা এত মাইক্রোফোনও ছিল না,’’ বলেছেন ছটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘এখনকার খেলোয়াড়দের জন্য সবকিছু সে দিক থেকে কঠিন। সবকিছুই এখন স্বচ্ছ। প্রশ্ন ওঠে এই পরিস্থিতি টেনিস প্রশাসন কী ভাবে সামলাবে? টেনিসও একটা বিনোদনমূলক খেলা। আমি কোর্টে কম্পিউটার বা যন্ত্র দেখতে চাই না। আবেগেরও প্রয়োজন রয়েছে। তবে তার মাত্রা যেন ছাড়িয়ে না যায়।’’
কয়েক জন টেনিস খেলোয়াড় এ ভাবে কোর্টে আবেগের বিস্ফোরণের সমালোচনা করেছেন। বেকার সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমরা কেউই নিখুঁত নই। সবার মধ্যেই এই ব্যাপারটা রয়েছে। টেনিস খেলোয়াড়দের অন্যদের কোর্টে আচরণ নিয়ে কথা বলা উচিত নয়।’’
সম্বরণদের উদ্যোগ: সম্বরণ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৫ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ‘রেড’ দল। সে দলের ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেওয়া হল কলকাতার এক জনপ্রিয় রেস্তরাঁয়। সেখানেই সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ‘‘অ্যাকাডেমি থেকে ইংল্যান্ডে ট্রেনিং করতে পাঠানো হবে ছেলেদের।’’ মূলত ইংল্যান্ডের দু’টি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইয়র্কশায়ারের প্রো-কোচ অ্যাকাডেমি ও বার্কশায়ারের পিয়োর ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রায় দু’মাস চলবে ট্রেনিং।