karate

প্রতিশ্রুতি দিয়েও চাকরি দেয়নি সরকার, মদ বেচে পেট চালান ক্যারাটেতে জাতীয় পদকজয়ী বিমলা

আর্থিক অবস্থা বরাবরই দুর্বল। অতিমারি এবং লকডাউনে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০৯:০০
Share:
০১ ১৫

রাজ্যকে এনে দিয়েছেন অসংখ্য পদক। তার মধ্যে আছে ৩৪তম জাতীয় ক্রীড়ার রৌপ্য পদকও। যে হাত ক্যারাটের মারপ্যাঁচে ধরাশায়ী করত প্রতিপক্ষকে, সেই হাত দু’টি এখন হাঁড়িয়া মেপে দেয় ক্রেতাকে। এ ছাড়া অন্নসংস্থানের পথ নেই ঝাড়খণ্ডের বিমলা মুণ্ডার।

০২ ১৫

আর্থিক অবস্থা বরাবরই দুর্বল। অতিমারি এবং লকডাউনে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়েছে।

Advertisement
০৩ ১৫

২৬ বছর বয়সি জাতীয় পদকজয়ী বিমলা জানিয়েছেন, হাঁড়িয়া বিক্রি করেই এখন তাঁর সংসার এবং ক্যারাটে প্রশিক্ষণ চলে।

০৪ ১৫

বিমলার কোনও স্পনসর নেই। প্রশিক্ষণ-সহ যাবতীয় খরচ তাঁকেই যোগাড় করতে হয়। করোনার সময় এই ব্যয় সংস্থান তাঁর কাছে দুঃসাধ্য।

০৫ ১৫

এক সময়ে সংসার চলত মায়ের উপার্জনে। কিন্তু বয়সের ভারে বিমলার মা আর দিনমজুরির কাজে যেতে পারেন না।

০৬ ১৫

২০১১ সালে জাতীয় ক্রীড়ায় রুপো। ২০১৪-এ অক্ষয় কুমার আন্তর্জাতিক কুডো টুর্নামেন্টে সোনা।

০৭ ১৫

এর পর বিমলার আশা ছিল, রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য বা একটা চাকরি পাবেন।

০৮ ১৫

সে সব বৃথা স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। মায়ের সঙ্গে হাঁড়িয়া বিক্রিতেই দিন গুজরান হয় তরুণীর। তাঁদের উপার্জনের টাকার দিকে তাকিয়ে বাড়িতে অপেক্ষা করে বিমলার বাবা এবং অশক্ত দাদু।

০৯ ১৫

বিমলার কথায়, গত বছর তৎকালীন ঝাড়খণ্ড সরকার ঘোষণা করেছিল, রাজ্যের ৩৩ জন পদকজয়ী খেলোয়াড়কে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রক্রিয়া ধামাচাপা পড়ে দিয়েছে।

১০ ১৫

রাজ্য সরকারের থেকে কোনও অর্থসাহায্য চান না বিমলা। পরিবর্তে, তিনি চান, আগের সরকারের ঘোষিত প্রকল্প এখন রূপায়িত হোক।

১১ ১৫

বিমলার বাড়িতে জমে আছে পদক ও শংসাপত্র। তাঁর আক্ষেপ, সব পদক তাঁর বাড়িতে ঠিকমতো রাখারও জায়গা নেই। সংরক্ষণের অভাবে নষ্টও হয়েছে বেশ কিছু।

১২ ১৫

অতীতে পদক ও শংসাপত্র নিয়ে গর্বিত হলেও এখন বিমলার স্বপ্ন দেখতে আর ভাল লাগে না।

১৩ ১৫

ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বিমলার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তার পর তাঁর সংগ্রাম জায়গা পেয়েছে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও।

১৪ ১৫

এর পরই টনক নড়েছে ঝাড়খণ্ডের সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন পদক্ষেপ করেছেন। তিনি রাঁচীর ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন ক্রীড়াসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমলার পাশে সবরকম সাহায্য নিয়ে দাঁড়ানোর জন্য।

১৫ ১৫

অতিমারি চলে গেলে আবার কি ফিরতে পারবেন খেলার মঞ্চে? ভাবতে চান না বিমলা। আপাতত মন দিয়েছেন মদ বিক্রি করে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার যোগাড় করার দিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement