সেরা: মায়ামিতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে বার্টির উচ্ছ্বাস। রয়টার্স
মায়ামি ওপেনের ফাইনালে পুরো ম্যাচ খেলতে পারলেন না বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু। ৬-৩, ৪-০ ফলে তাঁর প্রতিপক্ষ অ্যাশলে বার্টি এগিয়ে থাকার সময় বিয়াঙ্কা ম্যাচ ছেড়ে দেন পায়ের চোটে। প্রাক্তন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়নের চোখে তখন জল, মাথা নাড়ছেন হতাশায়।
বিশ্বের এক নম্বর বার্টি এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বার মায়ামি ওপেন জিতলেন। বার্টি ম্যাচ নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার পরে একটি ফোরহ্যান্ড শট মারতে গিয়ে পায়ে চোট পান বিয়াঙ্কা। এর পরে পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে খেলতে নামেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই তিনি ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ম্যাচের পরে বার্টি বলেন, ‘‘বিয়াঙ্কার জন্য আমার খারাপ লাগছে। চোট নিয়ে ওকে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হয়েছে আগেও।’’ সাংবাদিক বৈঠকে কথা বলার সময় ফের চোখে জল চলে আসে বিয়াঙ্কার। ‘‘আমি ম্যাচটা ছাড়তে চাইনি এ ভাবে। কিন্তু আমার প্রশিক্ষক বলেন তা না করলে আরও বড় চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমি প্রশিক্ষকের কথা বিশ্বাস করেছি। জানতাম, এই অবস্থায় এটাই সেরা সিদ্ধান্ত,’’ বলেন বিয়াঙ্কা। ২০১৯ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতার পরে ২০২০ সালে চোট ও করোনা অতিমারির জন্য প্রতিযোগিতায় নামেননি কানাডার তারকা। এ বার ফের সেই চোট-আতঙ্ক তাড়া করছে তাঁকে। ‘‘দেখা যাক চোটটা ঠিক কী রকম। যদি মারাত্মক কিছু না হয়, তা হলে আমি কী ভাবে চোট সারিয়ে ওঠা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি,’’ বলেন বিয়াঙ্কা।
২০১৯ মায়ামি ওপেন জিতেছিলেন বার্টি। ২০২০ সালে এই প্রতিযোগিতা করোনার জন্য বাতিল হয়ে যায়। ফলে পরপর দু’বার মায়ামি ওপেন জিতে তিনি নজিরও গড়লেন। পাশাপাশি এক নম্বর স্থানে থাকার তিনি যে যোগ্য সেটাও মনে করেন বার্টি। করোনা অতিমারির জন্য প্রায় গোটা মরসুম প্রতিযোগিতায় না খেললেও বার্টির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা নিয়ে সমালোচনা হয়। কয়েক জন মনে করেন, বার্টি সুবিধা পেয়েছেন করোনার জন্য র্যাঙ্কিং পদ্ধতিতে বদল আনায়। তাই ম্যাচের পরে বার্টি বলেছেন, ‘‘আমার কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই। র্যাঙ্কিং নিয়ে এখন প্রচুর কথা হচ্ছে সেটাও জানি। গত বছর প্রতিযোগিতায় খেলিনি। আমার পয়েন্টও এগোয়নি।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘আমার র্যাঙ্কিং নামেনি। কিন্তু সেটা তো উন্নতও হয়নি আর। অনেকের কাছেই তাই নিজেদের র্যাঙ্কিং উন্নত করার সুযোগ ছিল। তাই আমার মনে হয়, এক নম্বরে থাকার যোগ্য আমি।’’