প্রণতি নায়েক। — ফাইল চিত্র।
ভারতে জিমন্যাস্টিক্সের কথা বললেই সবার আগে মনে পড়ে দীপা কর্মকারের কথা। ২০১৬-র অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান অর্জনের পর থেকেই তিনি গোটা দেশের নজরে ছিলেন। ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। বুঝিয়েছিলেন, এই খেলায় ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
সাত বছর আগের সেই কীর্তির পর এখন পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। আগের মতোই অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে জিমন্যাস্টিক্স। এশিয়াডের জন্যে নয় সদস্যের যে দল নির্বাচিত করা হয়েছিল, সেখান থেকে টিকিট মিলেছে একমাত্র বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েকের। এশিয়ান গেমসে সম্ভবত ভারতের এটিই একমাত্র ইভেন্ট, যেখানে দেশের একজনই প্রতিযোগী। তিনি আবার বাঙালিও। ফলে সোমবার নিজের ইভেন্টে নামার আগে সব নজর থাকবে প্রণতির দিকেই।
ডোপিং করে ২১ মাস নির্বাসিত থাকার পর ফিরে এসে এশিয়াডের টিকিট পাননি দীপা। গোটা পুরুষ দলের নাম বাদ দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক। মেয়েদের দলের আর দুই বাঙালি প্রণতি দাস ও প্রতিষ্ঠা সামন্ত বাদ পড়েছেন। এই অবস্থায় প্রণতিই একমাত্র আশা। এশিয়াডে যাওয়ার আগে হাঙ্গেরিতে বিশ্ব চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ভাল পারফর্ম করেছেন প্রণতি।
এশিয়াডে নামার আগে প্রণতি বলেছেন, “সতীর্থদের জন্যে খারাপ লাগছে। ভারতের জিমন্যাস্টিক্সে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত হয়নি। সবাইকে পাশে পেলে ভাল লাগত। তবু আমি নিজের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। আশা করি পদক নিয়েই ফিরব। প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। চোট নেই। ফিটনেসের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি। শুক্রবার প্রথম অনুশীলনেও বেশ ভাল লেগেছে।”
সোমবার প্রণতি নামবেন যোগ্যতা অর্জন পর্বে। তিনি অলরাউন্ড পর্বে লড়ছেন। অর্থাৎ ব্যালান্স বিম, ফ্লোর, ভল্ট এবং আনইভেন বার, সবক’টিতেই নামবেন তিনি। তবে ভল্টই তাঁর আসল জায়গা। যোগ্যতা অর্জন পর্বে সুকাহারা ৩৬০ ডিগ্রি এবং ফরোয়ার্ড হ্যান্ডস্প্রিং ৩৬০ ডিগ্রি ভল্ট দেবেন। ফাইনালে উল্টে সুকাহারা ৭২০ ডিগ্রি ভল্ট দেবেন।