সেঞ্চুরি রামনের, জয় বাংলারও

বৃহস্পতিবার জয়পুরের সোয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। জয়পুরের এই উইকেট পরের দিকে ব্যাটিং সহায়ক হয়ে গেলেও সকালে পেসারদের সাহায্য করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

নায়ক: ১০৮ বলে অপরাজিত ১২২ রান অভিষেকের। ফাইল চিত্র

দীপক চাহার, রাহুল চাহার, খলিল আহমেদের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি বাংলার অভিষেক রামনের। ১০৮ বলে অপরাজিত ১২২ রান করে মরসুমের তৃতীয় জয় উপহার দিলেন বাংলাকে। বিজয় হজ়ারে ট্রফিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি করেছিলেন রামন। জিতেছিল বাংলা। রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাঁর সৌজন্যেই চার পয়েন্ট এল অরুণ লালের শিবিরে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জয়পুরের সোয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। জয়পুরের এই উইকেট পরের দিকে ব্যাটিং সহায়ক হয়ে গেলেও সকালে পেসারদের সাহায্য করে। যার সুবিধা অশোক ডিন্ডা কিছুটা তুলতে পারলেও ব্যর্থ ঈশান পোড়েল। কিন্তু অর্ণব নন্দী ও শাহবাজ় আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং মাঝের ওভারগুলোয় রান আটকে দেয় রাজস্থানের। ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে রাজস্থান। দু’টি করে উইকেট ডিন্ডা ও অর্ণবের।

জবাবে ১২ ওভারের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। ৩৩ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান শ্রীবৎস গোস্বামী। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন অভিমন্যু ও রামন। ছোটবেলার দুই বন্ধু মিলে ১১২ রানের জুটি গড়ে লড়াইয়ে ফেরায় বাংলাকে। ৯২ বলে ৬৬ রান করে অভিমন্যু ফিরে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়। মিডল অর্ডারে মনোজ তিওয়ারি (৭) ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১) ও অনুষ্টুপ মজুমদার (১৭) ফের ব্যর্থ। ৪৪.৫ ওভারে ২২৪-৫ স্কোরে পরিণত হওয়ার পর থেকেই ফের হারের আশঙ্কা ফিরে আসে শিবিরে। শুধুমাত্র রামনের দ্রুত রান করার গতি বাংলাকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শাহবাজ়ের ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংস এক ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে বাংলার।

Advertisement

যাঁর ইনিংসের ভিত্তিতে দু’টি ম্যাচ জিতল বাংলা, তাঁকে এত দিন সীমিত ওভারের দলে নেওয়া হত না। তাই রামনের কাছে এই প্রতিযোগিতা ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। জয়পুর থেকে ফোনে রামন বলছিলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফিতে গত দু’বছর ধরে নিয়মিত খেলছি। কিন্তু সীমিত ওভারের দলে জায়গা পাওয়ার জন্য এই প্রতিযোগিতাই ছিল নতুন চ্যালেঞ্জ। সেখানে দু’টি সেঞ্চুরি পেয়ে আশা করছি, এ বার থেকে প্রথম একাদশে নিয়মিত হতে পারব।’’

বাংলার সামনে এখনও বাকি চার ম্যাচ। কী ভাবে আগামী পর্বে যাওয়া সম্ভব? রামনের উত্তর, ‘‘আগামী চারটি ম্যাচই জিততে হবে। সঙ্গে বড় ব্যবধানে হারতে হবে গুজরাতকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement