বিপত্তি: ম্যাচ তখন থেমে। ইডেেন অরুণ লাল, অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যানেজার (ডান দিকে) ও দুই অধিনায়কের আলোচনা। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিন যে লড়াইটা দেখাতে পেরেছিল, দ্বিতীয় দিন তার একাংশও দেখা গেল না বাংলার ব্যাটিংয়ে। সূর্যগ্রহণের সঙ্গে আকাশে মেঘ থাকায় মাত্র ২১ ওভার ও ১০১ মিনিট খেলা হয় বৃহস্পতিবার। তার মধ্যেই ছয় উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানে অলআউট বাংলা। গ্রহণের দিনে বাংলার ব্যাটিংয়েও যেন ছন্দ হারিয়ে আঁধার নেমে এল।
আলো কমে যাওয়ায় দুপুর ১টা বেজে ৩৫ মিনিটের পরে আর খেলাই হয়নি। মেঘলা আকাশ ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার মাঝে ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপদের গতির বিরুদ্ধে পরীক্ষা দিতে হয়নি হনুমা বিহারীদের।
সূর্যগ্রহণের জন্য মোট ১৭টি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বিঘ্ন ঘটে। দিল্লি ও কর্নাটককে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ম্যাচ শুরু হবে সাড়ে এগারোটার পরে। কিন্তু ইডেনে নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮-৪৫ থেকে শুরু হয় ম্যাচ। সূর্যগ্রহণ ও খারাপ আবহাওয়ার জন্য মোট চার বার ম্যাচে বিঘ্ন ঘটে। শুরুতে চার ওভার হওয়ার পরে ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমে যাওয়ার নির্দেশ দেন আম্পায়ারেরা। ২০ মিনিট বন্ধ থাকে ম্যাচ। ফের ৯টা বেজে ২৭ মিনিটে ম্যাচ শুরু হয়। পাঁচ ওভার হওয়ার পরে ফের লাইটোমিটার দেখে ম্যাচ বন্ধ করার নির্দেশ দেন আম্পায়ারেরা। মধ্যাহ্নভোজের পরে আলো কিছুটা বাড়লেও ৪৩ মিনিটের বেশি ম্যাচ হয়নি।
একাধিক বার বিঘ্ন ঘটায় ব্যাটসম্যানেরাও সমস্যায় পড়েন। মেঘলা আবহাওয়ায় স্যাঁতসেঁতে পিচে একেই ব্যাট করা কঠিন। তার উপরে বার বার খেলা বন্ধ হলে উইকেটে থিতু হওয়ার কাজটিও ঠিক মতো করা যায় না। সেটাই কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় দ্বিতীয় দিন। ২৪১-৪ স্কোরে প্রথম দিন শেষ করার পরে এ দিন ৪৮ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারায় বাংলা। প্রথম দিন অপরাজিত থাকা অভিষেক রামন এ দিন মাত্র দু’রান যোগ করে ১১২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শ্রীবৎস গোস্বামীর ৭৭ বলে ২৫ রানের লড়াকু ইনিংস ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে মাঝের সারির ব্যাটসম্যানেরা রান পাওয়ায় বিপক্ষের সামনে বড় লক্ষ্য দিতে পেরেছিল বাংলা। এ দিন তাঁরাই ব্যর্থ। সাত রান করে বাঁ-হাতি পেসার সি স্টিফেনের আউটসুইং সামলাতে ব্যর্থ শাহবাজ আহমেদ। ডান হাতি পেসার শশীকান্তের দুরন্ত আউটসুইং (বাঁ-হাতির ক্ষেত্রে ইনসুইং) বুঝতেই পারেননি বি অমিত। ব্যাট ও পায়ের ফাঁক দিয়ে স্টাম্পে আছড়ে পড়ে শশীকান্তের ডেলিভারি। স্টিফেন ও শশীকান্তই ফিরিয়ে দেন আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমারকে। মোট চারটি করে উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেন দুই পেসার। প্রথম দিন খাটো লেংথে বল করে সাফল্য পাননি। দ্বিতীয় দিন লেংথ বদলাতেই উইকেট থেকে সাহায্য পেতে শুরু করেন বিপক্ষের দুই প্রধান পেসার। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সারা দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।