দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে বাংলাকে লড়াইয়ে রাখলেন নীলকণ্ঠ দাস।—ছবি সংগৃহীত
বাংলার রঞ্জি ট্রফি দলের মূল সমস্যা কি ধারাবাহিকতা? গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, দিল্লির মতো দলের বিরুদ্ধে যারা দাপটের সঙ্গে খেলে এল। রাজস্থানের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে তাদের ইনিংসই শেষ হয়ে গেল ১২৩ রানে! একটি তথ্য আরও অবিশ্বাস্য। ৯৪ রানে যে দলটির চার উইকেট পড়েছিল। তারাই নাকি ১২৩ রানে অলআউট! মাত্র ২৯ রানে ছয় উইকেট হারিয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরনেরা। রাজস্থানের ২৪১ রানের জবাবে ধরাশায়ী বাংলার ব্যাটিং লাইন-আপ। কৌশিক ঘোষ (৩৮) ও অভিষেক রামন (৩১) উইকেটে থিতু হওয়ার সুযোগ পেলেও বাকিরা তা পারেননি। মনোজ তিওয়ারি ফিরেছেন দুই রানে। তিন রানে প্যাভিলিয়নমুখী হন শ্রীবৎস গোস্বামী। ১৭ রান অনুষ্টুপ মজুমদারের। ১৬ রান করে ফিরে যান শাহবাজ আহমেদ। চারটি করে উইকেট নেন তনবীর উল হক ও ঋতুরাজ সিংহ।
দিনের শেষে যদিও বাংলাকে বাঁচাল তাদের বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৬ রানে আট উইকেট পড়ে গিয়েছে রাজস্থানের। পেস-সহায়ক পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করে ১৫ ওভারে ২৬ রানে চার উইকেট নেন মিডিয়াম পেসার নীলকণ্ঠ দাস। দুই উইকেট আকাশ দীপের। একটি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার ও অর্ণব নন্দী। বাংলার চেয়ে এখনও ২৭৪ রানে এগিয়ে রাজস্থান। কিন্তু বিপক্ষকে আর ২৫ রানের মধ্যে অলআউট করতে পারলে চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ রানের লক্ষ্যে নামতে হবে বাংলাকে। জয়পুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, উইকেটে আর কোনও জুজু নেই। কিন্তু দু’দলই পরাস্ত হয়েছে সুইং বুঝতে না পেরে। তৃতীয় দিন ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামের পিচ।
বাংলার কোচ অরুণ লাল বলছিলেন, ‘‘ওরা সত্যি খুব ভাল বোলিং করেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানেরা পরাস্ত হয়েছে সুইং বুঝতে না পেরে। ব্যাটিং নিয়ে শুরু থেকেই সমস্যা ছিল। রঞ্জির সপ্তম ম্যাচেও সেটাই এখনও সমস্যা।’’ অরুণ যদিও জানিয়ে দিলেন, এখনই অঙ্কের বাইরে রাখা যাবে না তাঁর দলকে। বাংলার কোচের কথায়, ‘‘যদি ৩০০ রানের লক্ষ্য ব্যাট করি, তা হলে এই পিচে সেই রান তোলা খুব একটা কঠিন নয়। আমাদের ব্যাটসম্যানেরা যে ভাল ইনিংস গড়তে পারে, তা আগে দেখিয়েছে। সেটা আরও এক বার প্রমাণ করার সময় হয়ে গিয়েছে। গত বছর ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে চতুর্থ ইনিংসে ৩০০-র উপর রান তাড়া করে আমরা জিতেছি। রাজস্থানের বিরুদ্ধেও আমাদের পারতেই হবে।’’
কলরিয়ার পাঁচ উইকেট: রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির বিরুদ্ধে বুধবার ৭৮ রানে পাঁচ উইকেট নেন গুজরাত পেসার রুশ কলরিয়া। ২৯৩ রানে অলআউট দিল্লি। জবাবে ২৬৯ রানে চার উইকেট গুজরাতের।