ফর্ম হারানো সুদীপকে ছাড়া টি-টোয়েন্টি দলের ভাবনা

গত বছর রঞ্জি ট্রফি থেকেই রানের খরা চলছে সুদীপের ব্যাটে। বিজয় হজ়ারে ট্রফিতেও যে ছবি পাল্টায়নি। প্রথম চার ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৯
Share:

অস্বস্তি: রানের খরাই বড় কাঁটা সুদীপের পথে। ফাইল চিত্র

সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে ছাড়াই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নামতে পারে বাংলা। বিজয় হজ়ারে ট্রফির ব্যর্থতার জন্যই আসন্ন টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার দলে তাঁকে রাখা হচ্ছে না।

Advertisement

গত বছর রঞ্জি ট্রফি থেকেই রানের খরা চলছে সুদীপের ব্যাটে। বিজয় হজ়ারে ট্রফিতেও যে ছবি পাল্টায়নি। প্রথম চার ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে চার নম্বরে নেমে ২৫ রান করেন। প্রতিযোগিতায় সেটাই ছিল তাঁর সর্বোচ্চ রান। জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে বাংলার মরণ-বাঁচন ম্যাচে সাত বলে এক রান করে ফিরে যান। রাজস্থানের বিরুদ্ধেও মাত্র এক রান করেন তিনি।

বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল মনে করেন, মূলস্রোতের ক্রিকেট থেকে কিছু দিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত সুদীপের। যাতে রঞ্জি ট্রফিতে চনমনে হয়ে ফিরতে পারেন বাংলার অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। সোমবার আনন্দবাজারকে ফোনে তিনি বলছিলেন, ‘‘ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য সুদীপ যেমন নিজের প্রতি আস্থা হারিয়েছে, দলকেও তার খেসারত দিতে হয়েছে। তাই আসন্ন মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির দলে ওকে রাখার পরিকল্পনা নেই। ওকে রঞ্জি ট্রফির ভাবনায় রাখা হয়েছে।’’

Advertisement

গত বার ঋদ্ধিমান সাহা থাকায় অতিরিক্ত ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন হয়নি। তাই সুদীপকে ছাড়াই দল গড়েছিল বাংলা। কিন্তু এ বার টি-টোয়েন্টিতে ঋদ্ধিকে পাচ্ছে না বাংলা। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন হতেই পারে। সুদীপের পরিবর্তে কাকে ভাবছেন আপনি? অরুণের জবাব, ‘‘অভিষেক রামন আছে। ওয়ান ডে-তে খুব ভাল ব্যাট করেছে। হাতে বড় শট রয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে এ ধরনের ক্রিকেটারই এখন বেশি করে প্রয়োজন।’’

দশ দিন পরেই বাংলার প্রথম ম্যাচ অসমের বিরুদ্ধে। তাই ৫ নভেম্বর মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে দল। সম্ভবত ৩ নভেম্বর দল নির্বাচন। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সুদীপের টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে।

সুদীপকে বাদ দিয়ে দল গড়া হলেও বাংলার কোচের উদ্বেগ রয়েই যাচ্ছে। তিনি সব চেয়ে চিন্তিত মনোজ তিওয়ারির ফর্ম নিয়ে। বিজয় হজ়ারে ট্রফিতে মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন প্রাক্তন বাংলা অধিনায়কের। তাঁর ফর্মের উপরেই এখনও নির্ভর করে বাংলার ব্যাটিং। অরুণ বলছিলেন, ‘‘বাংলাকে জিততে হলে মনোজকে রান করতেই হবে। কারণ, ও ম্যাচউইনার। যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত রান করার ক্ষমতা রয়েছে মনোজের। সেটাই কাজে লাগাতে হবে এ বার।’’

তবে বাংলার এই দলটি শুরু থেকে ভাল প্রস্তুতি নিলেও ঠিক জায়গায় পারফর্ম করতে পারছে না। তার কারণ কী? অরুণের উত্তর, ‘‘বাংলা দল একটি অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই তাঁদের ক্রিকেট জীবনের শেষের দিকে পৌঁছে গিয়েছে। ক্রিকেট থেকে ওদের আর পাওয়ার কিছু নেই। আর জুনিয়র ক্রিকেটারেরা পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি বলে বড় মঞ্চে ঝলসে উঠতে পারছে না। সমস্যা এটাই।’’

বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করতে চান অরুণ। তাঁর কথায়, ‘‘সৌরভ প্রত্যেকটি ম্যাচের খবর রাখে। দলে কী প্রয়োজন, সেটাও ওর নখদর্পণে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে ওর সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। কী ভাবে আমাদের দল আরও শক্তিশালী এবং দক্ষ করে তোলা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ নেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement