হতাশ: ব্যাটসম্যানদের ভূমিকায় বিরক্ত কোচ অরুণ। ফাইল চিত্র
বিদর্ভের বিরুদ্ধে দু’দিনেই হার বাংলার। নাগপুরে ঘূর্ণি পিচে বেহাল বাংলার ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল অভিমন্যু ঈশ্বরনদের লড়াই। দ্বিতীয় ইনিংসে একশো রানের গণ্ডীও পেরোতে পারেনি বাংলা। আদিত্য সরওয়াটে, অক্ষয় ওয়াখড়ের বিরুদ্ধে ৯৯ রানেই শেষ বাংলা।
৫৮ রানের লক্ষ্য ৯ উইকেটে তুলে ম্যাচ শেষ করে দেন অক্ষয় কর্ণেওয়ারেরা। চার ম্যাচ শেষে এলিট ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপ মিলিয়ে আপাতত অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলা। এই দু’টি গ্রুপের বাকি ম্যাচ চলছে। তা শেষ হলে পয়েন্ট তালিকার আরও নীচে নামতে পারে তারা।
এলিট ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপ মিলিয়ে সেরা পাঁচটি দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনাল। সে ক্ষেত্রে ১৯ জানুয়ারি কল্যাণীতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ছয় পয়েন্ট তুলতে না পারলে শেষ আটের লড়াইয়ে টিকে থাকাও কঠিন হয়ে যাবে ঈশ্বরনদের। বাংলার ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণ কী? নাগপুর থেকে ফোনে বিরক্ত বাংলা কোচ অরুণ লালের উত্তর, ‘‘একেবারে বাজে শট খেলে আউট হওয়ার খেসারত দিতে হল। উইকেটে কেউ দাঁড়াতেই পারল না। রঞ্জি ট্রফিতে সফল হওয়ার জন্য উইকেট কামড়ে পড়ে থাকার কাজটি করতে হবে। এক জনের মধ্যেও সেই চেষ্টা দেখা গেল না।’’ যোগ করেন, ‘‘উইকেট যে রকমই হোক। আমাদের তো বিপক্ষকে ভয় পাওয়াতে হবে। উল্টে আমরাই ভয় পেয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলাম।’’
অধিনায়ক অভিমন্যু এ দিনও রান পাননি। আট রানে ফিরে গিয়েছেন ড্রেসিংরুমে। অফস্পিনার অক্ষয়ের বলে কভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অভিষেক রামন (৪)। তিন নম্বরে নেমে অনুষ্টুপ মজুমদার কিছুটা লড়াই করলেও ব্যর্থ মনোজ তিওয়ারি (৯)। শ্রীবৎস গোস্বামী, শাহমাজ আহমেদ, অর্ণব নন্দীরা কেউ রান পাননি। এমনকি প্রথম দিন ৮৭ রানে বিদর্ভের তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও কঠিন পিচে ২১২ রানে শেষ করে প্রথম ইনিংস।
তার পরেও কী করে কল্যাণীতে ঘূর্ণি পিচে হায়দরাবাদ ও দিল্লির বিরুদ্ধে খেলতে চান বাংলার কোচ? অরুণের ব্যাখ্যা, ‘‘ঈশান নিউজ়িল্যান্ড উড়ে যাওয়ার পরে আমাদের পেস আক্রমণ দুর্বল হয়ে গিয়েছে। স্পিনারদের উপরেই তাই এখন আমাদের ভরসা রাখতে হচ্ছে।’’ রবিবার হারের দিনই আরও একটি দুঃসংবাদ এল বাংলা শিবিরে। হাঁটুর চোটে আগামী দু’মাস মাঠের বাইরে ঋত্বিক রায়চৌধুরী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলা ১৭০ (মনোজ ৪৮, অক্ষয় ওয়াখড়ে ৫-৫৬), বিদর্ভ ২১২ (ফৈয়জ ফজল ৫১, অর্ণব নন্দী ৩-৫১), বাংলা ৯৯ (আদিত্য সরওয়াটে ৬-৪৭), বিদর্ভ ৬১-১।