ফুরফুরে: প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজের সঙ্গে বাংলার ক্রিকেটারেরা। টুইটার
বিজয় হজ়ারে ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে ঋদ্ধিমান সাহাকে পাচ্ছে বাংলা শিবির। রবিবার বিকেলে জয়পুরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি।
২৪ সেপ্টেম্বর গুজরাতের বিরুদ্ধে মরসুম শুরু হচ্ছে বাংলার। গত বার পঞ্চাশ ওভারের প্রতিযোগিতায় ভাল ফল না হওয়ার চাপ রয়েছে। তার উপর প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ও ঈশান পোড়েলকে পাচ্ছে না বাংলা। তাঁরা বোর্ড প্রেসিডেন্ট দলে রয়েছেন। ঋদ্ধি দলে আসায় অভিমন্যুকে না পাওয়ার উদ্বেগ কিছুটা হলেও কমেছে কোচ অরুণ লালের।
রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুর থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে অরুণ বলেন, ‘‘ঋদ্ধিমান যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে পারে। আর উইকেটের পিছনে তো ও-ই বিশ্বের অন্যতম সেরা। ওর মতো ক্রিকেটার দলে থাকার অর্থ বিপক্ষের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকা। প্রথম ম্যাচে অভিমন্যু, ঈশানকে না পাওয়ায় যে চাপ তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই কমে গেল ঋদ্ধিকে পাওয়ায়।’’
অভিমন্যু দলে থাকলে শ্রীবৎস গোস্বামীর সঙ্গে তিনিই হয়তো ওপেন করতেন। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে যে হেতু অভিমন্যু নেই, সে জায়গায় কাকে ওপেন করাবেন অরুণ? ঋদ্ধি যদিও বরাবরই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওপেন করতে পছন্দ করেন। গত বার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ওপেন করে রান পেয়েছিলেন ঋদ্ধি। বিজয় হজ়ারে ট্রফিতেও কি সেই সুযোগ দেওয়া হবে? অরুণের উত্তর, ‘‘ঋদ্ধি কিন্তু যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে পারে। কখনও ওকে নির্দিষ্ট কোনও ব্যাটিং অর্ডার চাইতে দেখিনি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘অভিমন্যুর পরিবর্তে ঋদ্ধি ওপেন করবে না অভিষেক রামন, তা ঠিক করব কাল।’’
তবে ঈশানের জায়গায় অশোক ডিন্ডার সঙ্গে আকাশ দীপকে খেলানো হতে পারে। অরুণ যদিও ডিন্ডার ফিটনেস নিয়ে খুশি নন। বলছিলেন, ‘‘হাঁটুর চোট সারিয়ে উঠেছে ডিন্ডা। মাঝে অনেক দিন অনুশীলন করতে পারেনি। ফিটনেসও আগের মতো নেই। বিজয় হজ়ারে ট্রফিতে ওকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বিশ্রাম দিয়ে রঞ্জি ট্রফির জন্য তৈরি রাখার পরিকল্পনা ছিল। কারণ, রঞ্জি ট্রফিতে ডিন্ডার কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু ঈশান না থাকায় ডিন্ডাকেই প্রথম ম্যাচের দায়িত্ব
নিতে হবে।’’
এ দিকে নেতৃত্ব ছাড়ার পরে মঙ্গলবারই বাংলার জার্সিতে প্রথম ম্যাচ মনোজ তিওয়ারির। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে খেলতে হবে তাঁকে। অরুণ মনে করেন, মনোজ ও সুদীপ নিজেদের সেরাটা দিলে তাঁদের আটকানো কঠিন। ‘‘জয়পুরে প্রস্তুতি ম্যাচে সুদীপ প্রচুর রান করেছে। মনোজের প্রস্তুতিও খুব ভাল হয়েছে। সবাই জানে মনোজ কতটা বিধ্বংসী। গুজরাতের বিরুদ্ধে এই দু’জনই আমার তুরুপের তাস।’’