বিধ্বস্ত: হারের পরে বিশ্ব ফুটবলের তিন নায়ক মেসি, লেয়নডস্কি এবং মার্সিয়াল (বাঁ দিক থেকে)। এপি, এএফপি
লিগ কাপে চেলসিকে হারিয়েও ইপিএলে বোনর্মুথের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। শেষ তিন ম্যাচে ভাল খেললেও শনিবার তারা ডিন কোর্টে ০-১ হেরে গেল।
ইপিএলে শনিবার সেই অর্থে বড় অঘটন নেই। লিভারপুল ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি— দু’দলই জিতেছে। লিভারপুল ২-১ হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধেও ২-১ জয়ই পেয়েছে ম্যান সিটি। অর্থাৎ ইপিএল টেবলে এক ও দু’নম্বর দলের অবস্থান একই থাকল। লিভারপুলের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ৩১। ম্যান সিটির ১১ ম্যাচে ২৫।
ইপিএলে ছোটখাটো অঘটন একটাই। উলভসের সঙ্গে আর্সেনালের ১-১ ড্র করা। তবে বড় অঘটন ঘটেছে বুন্দেশলিগায়। বায়ার্ন মিউনিখের মতো দল হেরে গেল আইনট্র্যাখ্টের কাছে। তাও ১-৫ গোলে। এই হারের সৌজন্যে লিগ টেবলে চার নম্বরে চলে গেল লেয়নডস্কিদের বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের পয়েন্ট ১০ ম্যাচে মাত্র ১৮।
ইপিএলে মার্চের পর থেকে ওয়ে গুন্নার সোলসারের দল বাইরের মাঠে জিতছিল না। তবে শেষ দশ দিনে টানা তিন ম্যাচ জিতে তারা চমকে দেয় এবং ইপিএল টেবলে ১৪ থেকে সাত নম্বরে উঠে আসে। তিন ম্যাচ ম্যান ইউ জিতেছিল পার্টিজ়ান বেলগ্রডের বিরুদ্ধে ইউরোপা লিগে, নরউইচ সিটির বিরুদ্ধে ইপিএলে এবং চেলসির বিরুদ্ধে লিগ কাপ বা কারাবাও কাপে।
কিন্তু শনিবার রেড ডেভিলসের ডিফেন্সের মুহূর্তের ভুলে ছন্দপতন ঘটল। ৪৫ মিনিটে বোর্নমুথের জোসুয়া কিং একমাত্র গোল করে গেলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটা ম্যান ইউয়ের বিরুদ্ধে বোর্নমুথের মাত্র তৃতীয় জয়।
লিভারপুল কিন্তু শনিবার ভালই সমস্যায় পড়েছিল। ২১ মিনিটে ১-০ এগিয়ে যায় অ্যাস্টন ভিলা। গোল করেন মেহমুদ হাসান। খেলার শেষ লগ্নে (৮৭ মিনিটে) গোল শোধ করেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন। লিভারপুল জয়ের গোল পায় সংযুক্ত সময়ে, চতুর্থ মিনিটে। ত্রাতা সাদিয়ো মানে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটিও ১৩ মিনিটে সাউদাম্পটনের কাছে গোল হজম করে। করেন জেমস ওয়ার্ড-প্রাউজ। ৭০ মিনিটে ১-১ করেন সের্খিয়ো আগুয়েরো। ম্যান সিটি জয়ের গোল পায় ৮৬ মিনিটে। কাইল ওয়াকার দলকে রক্ষা করেন।